ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে “বিপ্লবী” পোর্টেবল এআই আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস চালু করবো Logo বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সানজিদ হোসেন মৃধা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার Logo চলতি অর্থবছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেবে সরকার – কৃষি সচিব Logo সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে সাংবাদিকদের মাঝে ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকার কল্যাণ অনুদান বিতরণ Logo এএফডি ও এমআইএসটি এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় RESILIENCE IN THE INFORMATION DOMAIN: TOOLS TO ADDRESS MISINFORMATION AND DISINFORMATION ON SOCIAL MEDIA শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo পিরোজপুরে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও দালাল মুক্ত বিএনপি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ Logo জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন,ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন Logo ধানমন্ডিতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনাকারী সজীবুল ইসলাম হৃদয়সহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার Logo নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা আদায়, শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা Logo ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেফতার; গাড়িসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার

সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। আর এজন্য মেরিন স্পেশাল প্লানে (এমএসপি) যে পরামর্শ এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্লাটফর্মের আন্ত:মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প আজকের কর্মশালার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরো গভীরভাবে কাজ করতে।” কেননা আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্র মৎস্যসম্পদ নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেনি।

উপদেষ্টা বলেন, মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষঙ্গিক খাতের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, “পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোন উন্নয়ন হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।” আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট হয়। তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, মাছের চরিত্র বোঝে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। কেননা সব মাছের স্বভাব-চরিত্র, কাজ, খাদ্যাভ্যাস এক না। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা করতে হবে। কেননা ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায় তাতো অন্য মাছ খায় না। তাই তার জন্য একটি পরিবেশ দরকার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা জরুরি। এ খাতে অংশীজন ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণের পাশাপাশি গবেষণা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সচিব বলেন, দেশের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ জরুরি, বিশেষ করে একটি “অল ওয়েদার ভেসেল” থাকা প্রয়োজন, যা গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে সারা বছর ব্যবহার করা যাবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফের সভাপতিত্বে এ সময় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প (এসসিএমএফপি)-এর পরিচালক মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী। পরে “মেরিন স্পেশাল প্ল্যানিং রোডম্যাপ (খাতসমূহের প্রস্তুতি)” বিষয়ে টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এসসিএমএফপি’র ডিপিডি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম এবং এমএসপি-প্রকল্পের টিম লিডার মো. গোলাম মোস্তফা।

আলোচনা পর্বে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ইএমআরডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমইএফসিসি), পরিকল্পনা কমিশন, বিভিন্ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পর্যটন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে “বিপ্লবী” পোর্টেবল এআই আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস চালু করবো

সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আলী আহসান রবি:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। আর এজন্য মেরিন স্পেশাল প্লানে (এমএসপি) যে পরামর্শ এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে মেরিন স্পেশাল প্লান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্লাটফর্মের আন্ত:মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প আজকের কর্মশালার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরো গভীরভাবে কাজ করতে।” কেননা আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্র মৎস্যসম্পদ নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেনি।

উপদেষ্টা বলেন, মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষঙ্গিক খাতের সঙ্গে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, “পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোন উন্নয়ন হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।” আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নষ্ট হয়। তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, মাছের চরিত্র বোঝে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। কেননা সব মাছের স্বভাব-চরিত্র, কাজ, খাদ্যাভ্যাস এক না। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা করতে হবে। কেননা ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায় তাতো অন্য মাছ খায় না। তাই তার জন্য একটি পরিবেশ দরকার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেন, সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা জরুরি। এ খাতে অংশীজন ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণের পাশাপাশি গবেষণা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সচিব বলেন, দেশের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ জরুরি, বিশেষ করে একটি “অল ওয়েদার ভেসেল” থাকা প্রয়োজন, যা গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে সারা বছর ব্যবহার করা যাবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফের সভাপতিত্বে এ সময় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প (এসসিএমএফপি)-এর পরিচালক মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী। পরে “মেরিন স্পেশাল প্ল্যানিং রোডম্যাপ (খাতসমূহের প্রস্তুতি)” বিষয়ে টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এসসিএমএফপি’র ডিপিডি ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম এবং এমএসপি-প্রকল্পের টিম লিডার মো. গোলাম মোস্তফা।

আলোচনা পর্বে অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ইএমআরডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমইএফসিসি), পরিকল্পনা কমিশন, বিভিন্ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পর্যটন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।