
মেহেদী হাসান : গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি-টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে ফিলিপ মরিসের নিকোটিন পাউচ তৈরির কারখানা স্থাপনের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংগঠন দুটি উল্লেখ করে, ২০২৫ সালের মে মাসে প্রধান উপদেষ্টা ই-সিগারেট ও ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS) উৎপাদনের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে, ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ফিলিপ মরিসকে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রির জন্য নিকোটিন পাউচ কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। অনুমোদনের শর্তাবলীতে উপকরণ আমদানির উল্লেখ থাকায় এটি সরকারের নির্দেশনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে সংগঠন দুটি মনে করছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং সিডিসি-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে, নিকোটিন পাউচ এবং এধরনের নতুন প্রজন্মের পণ্য শিশু, কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। বর্তমানে বিশ্বের ৩৪টি দেশে এই পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “নিকোটিন পাউচ কারখানা স্থাপনের অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার লঙ্ঘন। অবিলম্বে এটি বাতিল করতে হবে।”
সংগঠন দুটি আশা প্রকাশ করেছে, সরকার দ্রুততম সময়ে খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন চূড়ান্ত করে নিকোটিন পাউচ, ই-সিগারেট, ভ্যাপিং ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ সকল সংশ্লিষ্ট পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করবে।
নিজস্ব সংবাদ : 




















