নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (রঃ) এর টিলা ও মাজার খুড়ে পাথর তুলে টিলা ধ্বংসকারী বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বশর মিয়াকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।
এসময় আব্দুল মালেক নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার বৈশাকান্দী-বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, রাত ১২ টায় থানা পুলিশ ও বিজিবিদের নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিলারপাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের হোতা বশর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর শুরু হয় শাহ আরেফিন টিলার পাথর উত্তোলন। এসময় প্রায় ৭'শ বছরের পুরাতন শাহ আরেফিন (রঃ) এর মাজারে স্তুপ করে রাখা ২ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। এর পর মাজারের শতবর্ষী গাছপালা কেটে নিয়ে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘ ১ বছর পাথর উত্তোলন করে বিলীন করা হয়েছে মাজার কবরস্থান ও খেলার মাঠ। আর এসবই হয়েছে বশর কোম্পানির নেতৃত্বে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বশর কোম্পানির বশরমিয়া আগ থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের বেশ কয়েক'টি মামলার আসামি । তাছাড়া অস্ত্র এবং পুলিশ এসল্ট মামলাও ছিল তার বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়াতে সহজে কেউ কথা বলতে চায় না। সেই সুবাধে তার ভাইদের দিয়ে তিনি শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন করান। তবে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মাজার রক্ষা কারীদের সাথে তাদের মারামারি হয়।
২ জনকে গ্রেফতার করে সাজা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রতন শেখ জানান, বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪ টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। আব্দুল মালেক-কে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মোবাইল কোর্ট। তাদেরকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, মোবাইল : ০১৬৪৩৫৬৫০৮৭, ০১৭১১৪৪৭৫২২, অফিস : ৪/এ, প্রধান সড়ক, আটি মডেল সোসাইটি, আটি, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১২, ইমেইল : somoyerbuletin@gmail.com
© All rights reserved © SomoyerBulletin