 
     নিজস্ব প্রতিনিধি : পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে আশুরিয়া হোতা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের দুপটুয়াখালীরই বছর পরও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল–মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের স্লোগান যতই দেওয়া হোক, বাস্তব চিত্র দেখলে স্থানীয়দের প্রশ্ন— “এই এলাকার মানুষ কি সরকার মানুষের কাতারে ধরে?”
নিজস্ব প্রতিনিধি : পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে আশুরিয়া হোতা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের দুপটুয়াখালীরই বছর পরও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল–মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের স্লোগান যতই দেওয়া হোক, বাস্তব চিত্র দেখলে স্থানীয়দের প্রশ্ন— “এই এলাকার মানুষ কি সরকার মানুষের কাতারে ধরে?”
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক এখনো কাগজেই বন্দি। ফলে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ,গাবতলী ও দক্ষিণ মুরাদিয়ার হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুমকি সদরে কাজে যেতে এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় রোগী আনা-নেওয়া, কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণসহ সব কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছাতে ঘুরে যেতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল।
অটোচালক আবুল হোসেন বলেন,
“সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে আমরা অটো নিয়ে যাতায়াত তো করতেই পারছি না, উল্টো যাত্রীও হারাচ্ছি।"
স্কুলছাত্রী মালিহা আক্তার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,
“বর্ষায় জীবননাশের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।”
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান,এই সেতুপথ দিয়ে কয়েকটি স্কুল–মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। অথচ প্রশাসন নির্বিকার।
ইউপি সদস্য কবির হোসেন মৃধা বলেন,
“সরকার যেন আমাদের মানুষই মনে করে না! সেতু শেষ হয়েছে বহু আগেই, কিন্তু সংযোগ সড়ক হচ্ছে না। ঠিকাদার পলাতক, এলজিইডি অফিসে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার ইমরান হোসেন জানান,বৃষ্টির কারণে কাজ করা যায়নি। খুব শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ করা হবে।
এদিকে দুমকি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন,পানি থাকায় মাটি পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন হবে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“দুই বছর কি যথেষ্ট সময় নয়।সংযোগ সড়ক না থাকায় সরকারি অর্থে নির্মিত সেতুটি আজ অকার্যকর। সুতরাং প্রশাসন ও ঠিকাদার পক্ষের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন দুমকির হাজারো মানুষ।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, মোবাইল : ০১৬৪৩৫৬৫০৮৭, ০১৭১১৪৪৭৫২২, অফিস : ৪/এ, প্রধান সড়ক, আটি মডেল সোসাইটি, আটি, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১২, ইমেইল : somoyerbuletin@gmail.com
© All rights reserved © SomoyerBulletin