ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাঙ্গামাটিতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের আকস্মিক থানা ও ট্রাফিক অফিস পরিদর্শন Logo নবাগত পুলিশ সুপার, পাবনা মহোদয়ের সাথিয়া থানা আকস্মিক পরিদর্শন। Logo নরসিংদীতে পুলিশের অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাসুদ মিয়া গ্রেফতার Logo গুলিবিদ্ধ হালিমা’র অবস্থা আশঙ্কাজনক, মামলা হয়নি।  Logo পিরোজপুরে পুলিশ সুপারের হাতে নবপদোন্নত কর্মকর্তার র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিধান Logo মানবিকতার আলোয় উজ্জ্বল বেলতলী: নতুন ঘর পেয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছেন বিমলা হাজং। Logo সিসা দূষণ নির্মূলে জাতীয় কৌশলপত্র চূড়ান্ত করছে সরকার। Logo বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈঠকে খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা Logo বাউফলে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা
কালিগঞ্জে নারীঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে গুলির ঘটনা—হালিমা খুলনা মেডিকেলে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন, স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ

গুলিবিদ্ধ হালিমা’র অবস্থা আশঙ্কাজনক, মামলা হয়নি। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মামলা করতে ভীতসন্ত্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি ঘীরে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন।

থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা গ্রামে নারীঘটিত ব্যাপারে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে গুলির ঘটনা ঘটে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার বেগতিক হওয়ায় রাতেই খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হৃদয় তরফদার স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। হালিমা খাতুন (৩৭) সোতা গ্রামের মোসলেম আলীর স্ত্রী। অপরদিকে হৃদয় তরফদার (২১) শংকরপুর গ্রামের ইয়ার আলী তরফদারের ছেলে।

গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের পুত্র সাইফুল্লাহ মনির বলেন, তার মা বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে হট্রগোলের শব্দে বাইরে গেলে তিনি আচমকা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে রেফার করে।

এ ঘটনায় কৃষ্ণনগর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জানান, শংকরপুর গ্রামের আঃ জব্বার দরফদারের ছেলে ইয়ার আলী দীর্ঘদিন ধরে সোতা গ্রামের এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার সময়ে ইয়ার আলীর স্ত্রী ও পুত্র হৃদয় তাকে খুঁজতে ঐ নারীর বাড়িতে গেলে সেখানে ইয়ার আলীর সঙ্গে তাদের বাগবিতন্ডা হয়।

এর আগে হালিমা খাতুন তাদের ওই বাড়ি দেখিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ার আলী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয়ও আহত হয়। তবে হালিমা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সালমান রহমান জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জানান, ঘটনার‘খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।

আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আহত হালিমা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত চলছে, এঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গামাটিতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের আকস্মিক থানা ও ট্রাফিক অফিস পরিদর্শন

কালিগঞ্জে নারীঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে গুলির ঘটনা—হালিমা খুলনা মেডিকেলে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন, স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ

গুলিবিদ্ধ হালিমা’র অবস্থা আশঙ্কাজনক, মামলা হয়নি। 

আপডেট সময় ০৪:০৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মামলা করতে ভীতসন্ত্রস্ত ভুক্তভোগী পরিবার। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি ঘীরে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন।

থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা গ্রামে নারীঘটিত ব্যাপারে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে গুলির ঘটনা ঘটে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার বেগতিক হওয়ায় রাতেই খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হৃদয় তরফদার স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। হালিমা খাতুন (৩৭) সোতা গ্রামের মোসলেম আলীর স্ত্রী। অপরদিকে হৃদয় তরফদার (২১) শংকরপুর গ্রামের ইয়ার আলী তরফদারের ছেলে।

গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের পুত্র সাইফুল্লাহ মনির বলেন, তার মা বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে হট্রগোলের শব্দে বাইরে গেলে তিনি আচমকা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে রেফার করে।

এ ঘটনায় কৃষ্ণনগর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জানান, শংকরপুর গ্রামের আঃ জব্বার দরফদারের ছেলে ইয়ার আলী দীর্ঘদিন ধরে সোতা গ্রামের এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার সময়ে ইয়ার আলীর স্ত্রী ও পুত্র হৃদয় তাকে খুঁজতে ঐ নারীর বাড়িতে গেলে সেখানে ইয়ার আলীর সঙ্গে তাদের বাগবিতন্ডা হয়।

এর আগে হালিমা খাতুন তাদের ওই বাড়ি দেখিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়ার আলী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয়ও আহত হয়। তবে হালিমা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সালমান রহমান জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জানান, ঘটনার‘খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।

আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আহত হালিমা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত চলছে, এঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।