আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না। তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু।
আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন। নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা
দিনটির ইতিহাসঃ ১৯৮৬ সালের ২৯ মার্চ মিশিগানের ক্যারো শহরে রেভারেন্ড কেভিন জাবর্নি এই দিবসটি প্রতিষ্ঠা করেন। জাবর্নি এই দিনটি উৎসর্গ করেন মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য যাতে তারা আরও খোলাখুলিভাবে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে এবং আনন্দ ছড়িয়ে দেয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়ার সময়, জাবর্নি বুঝতে পারেন "একে অপরের আলিঙ্গনে এতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনই নেই।
জাবর্নি পূর্বে দ্য ক্রিশ্চিয়ান পোস্টকে বলেছিলেন, "মানুষদের ইতিবাচক মানবিক মিথষ্ক্রিয়ার প্রয়োজন। আলিঙ্গন সেই ক্রিয়ার উৎকৃষ্ট এবং নিরাপদ উপায়।
সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গন করলে আন্তরিকতা বাড়ে। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। আলিঙ্গনের কিছু স্বাস্থ্যগত সুবিধাও আছে। যেমন- আলিঙ্গন করলে আমরা মানসিকভাবে স্বস্তি পাই, স্ট্রেস ও রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আবার পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়ায়। তাই আজ আলিঙ্গন করতেই পারেন।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস"রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সিসি"জার্নালিজম,এলএলবি।
সম্পাদক : মোঃ কবির নেওয়াজ রাজ, মোবাইল : ০১৬৪৩৫৬৫০৮৭, ০১৭১১৪৪৭৫২২, অফিস : ৪/এ, প্রধান সড়ক, আটি মডেল সোসাইটি, আটি, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১২, ইমেইল : somoyerbuletin@gmail.com
© All rights reserved © SomoyerBulletin