
আলী আহসান রবি: বাকু (আজারবাইজান), ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওআইসি শ্রম কেন্দ্রের দ্বিতীয় সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের একটি গোলটেবিল বৈঠক গতকাল আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রায় ২৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন উদ্ভাবনীমূলক শ্রম নীতিতে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ শ্রম কেন্দ্র সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর ১০টি মৌলিক কনভেনশনের মধ্যে আটটি-সহ মোট ৩৬টি কনভেনশন ও একটি প্রোটোকলে অনুস্বাক্ষর করেছে। বাকি দু’টি মৌলিক কনভেনশন (কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭) এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
শ্রমবাজারের একীভূতকরণ ও শ্রমিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, দক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মসংস্থান ও চলাচল নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগ ও নীতি সংস্কার প্রয়োজন। এজন্য ওআইসি শ্রম কেন্দ্র Statistical, Economic and Social Research and Training Centre for Islamic Countries-এর মাধ্যমে তথ্য বিনিময় ও যৌথ গবেষণার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার দেশসমূহের চাহিদা অনুযায়ী শ্রম বাজার উন্মুক্ত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, শ্রম খাতের বিকাশে প্রশিক্ষণ আয়োজনসহ বিভিন্ন আইনগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগোপযোগী বিধিবিধান পালনের জন্য ওআইসি শ্রম কেন্দ্রকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী সরবরাহের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ওআইসি দেশগুলো কৃষি খাতে চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে বলে তিনি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, নিরাপত্তা প্রদান, অধিকার আদায় ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তিতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’ তিনি এ বিষয়ে ওআইসি শ্রম কেন্দ্রের আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।