
আলী আহসান রবি: এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৬২ তম মিশন হিসেবে আজ আলজেরিয়ার আলজিয়ার্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবার শুভ উদ্বোধন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ কারিগরি প্রতিনিধিদল, বাংলাদেশ-আলজেরিয়া বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধি দল এবং আলজিয়ার্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আলজেরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নাজমুল হুদা।
উদ্বোধনের পূর্বে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের টিম টেকনিক্যাল কার্যক্রম এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে ‘ই-পাসপোর্ট’ আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থিত বাংলাদেশিদের সম্যক ধারণা দেন ঢাকা থেকে আগত ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক জনাব মেজর সৈয়দ গোলাম মুরতাজা। পরবর্তীতে ই-পাসপোর্ট আবেদনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ টি এম আবু আসাদ। তিনি সরকারের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোঃ নাজমুল হুদা। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কারিগরি প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে দূতাবাস হতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ই-পাসপোর্ট সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি বলেন, এই কার্যক্রম চালু করার ফলে এখন থেকে আলজেরিয়ায় এবং এ দূতাবাসের সমবর্তী দেশসমূহে (ক্যামেরুন, মৌরিতানিয়া, মালি ও গ্যাবন) বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও দূতাবাস আলজেরিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসুলার পরিষেবা প্রদানের সময় ‘ই-পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করবে। আবেদনকারীরা ৫ বছর বা ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ দূতাবাস, আলজিয়ার্সে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করার জন্য রাষ্ট্রদূত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ই-পাসপোর্ট প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ রাখার ক্ষেত্রে সবাইকে সহযোগীতার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রদূত কয়েকজন আবেদনকারীকে ‘ই-পাসপোর্ট’ এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দূতাবাসের এই উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।