ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দিল্লি থেকে লন্ডন যাচ্ছেন শেখ হাসিনা? Logo অপসংস্কৃতির অন্ধকার থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষায় মঞ্চ নাটকের পুনঃজাগরণ খুবই প্রয়োজন- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা- ধর্ম উপদেষ্টা Logo প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম বিশ্বকে সহায়তা করার জন্য ইসলামী এনজিওগুলিকে সামাজিক ব্যবসা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন Logo জলমহালের প্রকৃত অধিকার মৎস্যজীবীদের- মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Logo ভৈরবে মোবাইল কোর্ট: ১৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ Logo ডিএমপির কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলো তাজিয়া মিছিল Logo নারায়ণগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহিদ রিয়া গোপ ও সুমাইয়ার শোকার্ত পরিবারের বাসায়—- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo মবের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

সংস্কারের অভাবে বেহাল শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজীরখামার সড়ক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

শেরপুর প্রতিনিধি: চার বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে শেরপুর জেলা সদর থেকে গাজীরখামার হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলায় যাওয়ার সড়কটি। কোথাও পাকা সড়কের চিহ্ন নেই, কোথাও আবার সৃষ্টি হয়েছে এক থেকে দুই ফুট গভীর গর্ত। খানাখন্দে ভরা সড়কে ছোট ও মাঝারি যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ঘটছে দুর্ঘটনাও। নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ আশপাশের ইউনিয়নে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান এ সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর দুটি পৌরসভা এবং পাঁচটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ১৭ কিলোমিটার অংশ প্রশস্ত ও সংস্কার করা হয়। তবে কাজটি শেষ হতে সময় লাগে চার বছর। ২০২০ সালে কাজ শেষ হলেও এক বছর না যেতেই ফের ভেঙে পড়ে সড়কটি।
গাজীরখামার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুরো সড়কটি ভেঙে গিয়ে ইট-সুরকি বের হয়ে এসেছে। বাজারের লোকজন মিলে ইট, বালু, সুরকি ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন। কিছু দূর পরপরই বড় গর্ত। এতে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিদিন বিপাকে পড়ছেন।
সড়কটি ব্যবহারকারী মোটরসাইকেলচালক ও
শেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা। বিশেষ করে বাজার এলাকায় এত বড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, মানুষ পার হওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় স্কুলছাত্র সবুজ মিয়া বলেন, সড়কটির এমন অবস্থা যে হেঁটে চলতেও ভয় লাগে। কখন কোন গাড়ি উল্টে পড়ে যায়, বলা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, এই সড়কটি সংস্কার করতে সময় লেগেছে ৪ বছর। কিন্তু এক বছরও টেকেনি। এখন তো আর মেরামতেরও কোনো খবর নেই।পলাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেন, বাবর আলী ও আল-আমিনসহ অনেকে বলেন, দ্রুত সংস্কার না করলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়কটির সংস্কারে একটি বড় প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এতে সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে গাজীরখামার, নালিতাবাড়ী হয়ে হালুয়াঘাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হবে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেন, গাজীরখামার বাজারসহ যেসব স্থানে বড় গর্ত হয়েছে, সেগুলো অচিরেই জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দিল্লি থেকে লন্ডন যাচ্ছেন শেখ হাসিনা?

সংস্কারের অভাবে বেহাল শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজীরখামার সড়ক

আপডেট সময় ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি: চার বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে শেরপুর জেলা সদর থেকে গাজীরখামার হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলায় যাওয়ার সড়কটি। কোথাও পাকা সড়কের চিহ্ন নেই, কোথাও আবার সৃষ্টি হয়েছে এক থেকে দুই ফুট গভীর গর্ত। খানাখন্দে ভরা সড়কে ছোট ও মাঝারি যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ, ঘটছে দুর্ঘটনাও। নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ আশপাশের ইউনিয়নে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান এ সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর দুটি পৌরসভা এবং পাঁচটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ১৭ কিলোমিটার অংশ প্রশস্ত ও সংস্কার করা হয়। তবে কাজটি শেষ হতে সময় লাগে চার বছর। ২০২০ সালে কাজ শেষ হলেও এক বছর না যেতেই ফের ভেঙে পড়ে সড়কটি।
গাজীরখামার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুরো সড়কটি ভেঙে গিয়ে ইট-সুরকি বের হয়ে এসেছে। বাজারের লোকজন মিলে ইট, বালু, সুরকি ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন। কিছু দূর পরপরই বড় গর্ত। এতে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিদিন বিপাকে পড়ছেন।
সড়কটি ব্যবহারকারী মোটরসাইকেলচালক ও
শেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা। বিশেষ করে বাজার এলাকায় এত বড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, মানুষ পার হওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় স্কুলছাত্র সবুজ মিয়া বলেন, সড়কটির এমন অবস্থা যে হেঁটে চলতেও ভয় লাগে। কখন কোন গাড়ি উল্টে পড়ে যায়, বলা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, এই সড়কটি সংস্কার করতে সময় লেগেছে ৪ বছর। কিন্তু এক বছরও টেকেনি। এখন তো আর মেরামতেরও কোনো খবর নেই।পলাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেন, বাবর আলী ও আল-আমিনসহ অনেকে বলেন, দ্রুত সংস্কার না করলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়কটির সংস্কারে একটি বড় প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এতে সদর উপজেলার কামারেরচর থেকে গাজীরখামার, নালিতাবাড়ী হয়ে হালুয়াঘাট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হবে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেন, গাজীরখামার বাজারসহ যেসব স্থানে বড় গর্ত হয়েছে, সেগুলো অচিরেই জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হবে।