ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আইসেসকোকে বাংলাদেশে ইসলামিক কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার আহ্বান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার Logo ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ৯ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় Logo যাত্রাবাড়ীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ Logo বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন , হাসিনার আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ডাকাতদের গ্রাম Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পটপরিবর্তন Logo কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে অস্ত্রের লাইসেন্সে দেওয়া হয় Logo পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী ঘোষণা Logo “জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি” চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূ রিমু হত্যাকাণ্ড: পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দী লাশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে
মো: হামিম রানা,।ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মালগাঁও চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা একরামুল হোসেনের বড় মেয়ে রিমু আক্তার গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার তার খোঁজে নানা জায়গায় যোগাযোগ করলেও কোথাও সন্ধান মেলেনি।
জানা যায়, রিমু আক্তার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেছিলেন একান্নপুর লক্ষিন্দর গ্রামের বাসিন্দা লিটন নামের এক যুবককে। তবে বিয়ের পর থেকেই রিমুর সংসারজীবনে অশান্তি নেমে আসে। মাদকাসক্ত স্বামী লিটনের নেশা এবং পারিবারিক কলহে রিমুর জীবন বিষণ্ন হয়ে পড়ে।
রিমুর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার বাবা-মা লিটনের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে প্রথমে জানানো হয়—”সে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে চলে গেছে।” কিন্তু এক পর্যায়ে লিটনের বড় ভাই স্বীকার করেন—লিটন নিজেই তাকে জানিয়েছে, রিমু আর বেঁচে নেই।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় খোঁজ শুরু হলে, অবশেষে মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। রিমুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায় লিটনের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সুমন নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে।
অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয় হলো—রিমু আক্তারের একটি ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে পুনরায় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। এমন নির্মমতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা চাই, রিমু হত্যাকাণ্ডের সকল দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক। এই ধরনের অপরাধের যেন আর কেউ শিকার না হয়—সেই লক্ষ্যে কঠোর বিচারই পারে সমাজকে রক্ষা করতে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসেসকোকে বাংলাদেশে ইসলামিক কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার আহ্বান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূ রিমু হত্যাকাণ্ড: পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দী লাশ

আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
মো: হামিম রানা,।ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মালগাঁও চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা একরামুল হোসেনের বড় মেয়ে রিমু আক্তার গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার তার খোঁজে নানা জায়গায় যোগাযোগ করলেও কোথাও সন্ধান মেলেনি।
জানা যায়, রিমু আক্তার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেছিলেন একান্নপুর লক্ষিন্দর গ্রামের বাসিন্দা লিটন নামের এক যুবককে। তবে বিয়ের পর থেকেই রিমুর সংসারজীবনে অশান্তি নেমে আসে। মাদকাসক্ত স্বামী লিটনের নেশা এবং পারিবারিক কলহে রিমুর জীবন বিষণ্ন হয়ে পড়ে।
রিমুর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার বাবা-মা লিটনের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে প্রথমে জানানো হয়—”সে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে চলে গেছে।” কিন্তু এক পর্যায়ে লিটনের বড় ভাই স্বীকার করেন—লিটন নিজেই তাকে জানিয়েছে, রিমু আর বেঁচে নেই।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় খোঁজ শুরু হলে, অবশেষে মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। রিমুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায় লিটনের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সুমন নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে।
অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয় হলো—রিমু আক্তারের একটি ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে পুনরায় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। এমন নির্মমতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা চাই, রিমু হত্যাকাণ্ডের সকল দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক। এই ধরনের অপরাধের যেন আর কেউ শিকার না হয়—সেই লক্ষ্যে কঠোর বিচারই পারে সমাজকে রক্ষা করতে।