
মো: হামিম রানা,।ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মালগাঁও চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা একরামুল হোসেনের বড় মেয়ে রিমু আক্তার গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার তার খোঁজে নানা জায়গায় যোগাযোগ করলেও কোথাও সন্ধান মেলেনি।
জানা যায়, রিমু আক্তার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেছিলেন একান্নপুর লক্ষিন্দর গ্রামের বাসিন্দা লিটন নামের এক যুবককে। তবে বিয়ের পর থেকেই রিমুর সংসারজীবনে অশান্তি নেমে আসে। মাদকাসক্ত স্বামী লিটনের নেশা এবং পারিবারিক কলহে রিমুর জীবন বিষণ্ন হয়ে পড়ে।
রিমুর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার বাবা-মা লিটনের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে প্রথমে জানানো হয়—”সে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে চলে গেছে।” কিন্তু এক পর্যায়ে লিটনের বড় ভাই স্বীকার করেন—লিটন নিজেই তাকে জানিয়েছে, রিমু আর বেঁচে নেই।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় খোঁজ শুরু হলে, অবশেষে মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। রিমুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায় লিটনের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সুমন নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে।
অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয় হলো—রিমু আক্তারের একটি ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে পুনরায় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। এমন নির্মমতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা চাই, রিমু হত্যাকাণ্ডের সকল দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক। এই ধরনের অপরাধের যেন আর কেউ শিকার না হয়—সেই লক্ষ্যে কঠোর বিচারই পারে সমাজকে রক্ষা করতে।