ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২ Logo মেরিটাইম ইন্ড্রাস্টিকে নিরাপদ ও ডিজিটাল করতে বিএসসিএল ও স্টারনুলার মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর Logo শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন——- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo কালো ধোঁয়া ও নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মোবাইল কোর্ট অভিযানে জরিমানা ও সতর্কবার্তা Logo কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে -পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তায় নিয়োজিত চিকিৎসাদলকে সংবর্ধনা Logo মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

ভূমি জোনিং অপরিহার্য- সিনিয়র সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি: রাস্তার পাশে সরকারের পতিত জমি দলগতভাবে কৃষিকাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে উল্লেখ  করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সলেহ আহমেদ বলেন; ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে  অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন,  শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। খাদ্য  উৎপাদনের নিমিত্ত কৃষি  জমি হ্রাস পাচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও  শ্রেণীগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে। ভূমি  সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা অপরিহার্য। এটি নিশ্চিত করণের জন্য ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ করা হয়েছে। আজ মন্ত্রণালয়ের  সভাকক্ষে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন- ২০২৪'(খসড়া) চূড়ান্তকরনের  লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত  কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সিনিয়র সচিব বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- অপরিকল্পিতভাবে ভূমির ব্যবহার রোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্যশস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিং এর মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের নিমিত্তে কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ ধরনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উল্লেখিত আইনটি জরুরি হয়ে পড়েছে, বলেন তিনি। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তায়  কৃষিজমির সুরক্ষার বিষয়টি আইনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই আইনে উর্বর জমির অননুমোদিত ব্যবহার থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান(সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২

ভূমি জোনিং অপরিহার্য- সিনিয়র সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় ১০:৩৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি: রাস্তার পাশে সরকারের পতিত জমি দলগতভাবে কৃষিকাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে উল্লেখ  করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সলেহ আহমেদ বলেন; ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে  অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন,  শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। খাদ্য  উৎপাদনের নিমিত্ত কৃষি  জমি হ্রাস পাচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও  শ্রেণীগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে। ভূমি  সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা অপরিহার্য। এটি নিশ্চিত করণের জন্য ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ করা হয়েছে। আজ মন্ত্রণালয়ের  সভাকক্ষে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন- ২০২৪'(খসড়া) চূড়ান্তকরনের  লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত  কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সিনিয়র সচিব বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- অপরিকল্পিতভাবে ভূমির ব্যবহার রোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্যশস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিং এর মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের নিমিত্তে কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ ধরনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উল্লেখিত আইনটি জরুরি হয়ে পড়েছে, বলেন তিনি। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তায়  কৃষিজমির সুরক্ষার বিষয়টি আইনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই আইনে উর্বর জমির অননুমোদিত ব্যবহার থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান(সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।