ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিমের সভাপতির পিরোজপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন। Logo পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo সাতক্ষীরা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের দাবী Logo জামালপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত Logo রানীশংকৈলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি Logo কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির মাদকবিরোধী অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার Logo মৌলভীবাজারে কনস্টেবল পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন Logo সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা Logo সীমান্তবর্তী ধর্মগড় চেকপোস্ট বাজার জমজমাট বাণিজ্যে সরব Logo বাউফলে ট্রলির সাথে মটরসাইকেলের ধাক্কায় বিএনপি নেতার মৃত্যু- চালক আটক

বাউফলে মারধরে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • ৬১৪ বার পড়া হয়েছে

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আহত মো. শাহ আলম রাঢ়ীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে।
সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ, শুক্রবার গোসিংগা গ্রামে ছাগলে শাহ আলম রাঢ়ীর ক্ষেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশি রাজু ঘরামির (৬০) কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাজমা বেগম বাড়িতে চলে যায়। ওই ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ঘরামি ২০-২২ জনের একটি দল নিয়ে শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা নাজমা বেগমকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী শাহ আলম ও তার ছেলে রাকিব (২০) এগিয়ে গেলে তাদের দুইজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৩ মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২২।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন,‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনার সময়ই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিমের সভাপতির পিরোজপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন।

বাউফলে মারধরে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আহত মো. শাহ আলম রাঢ়ীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে।
সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ, শুক্রবার গোসিংগা গ্রামে ছাগলে শাহ আলম রাঢ়ীর ক্ষেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশি রাজু ঘরামির (৬০) কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাজমা বেগম বাড়িতে চলে যায়। ওই ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ঘরামি ২০-২২ জনের একটি দল নিয়ে শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা নাজমা বেগমকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী শাহ আলম ও তার ছেলে রাকিব (২০) এগিয়ে গেলে তাদের দুইজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৩ মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২২।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন,‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনার সময়ই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’