ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দাবি মেনে নিয়েছে সরকার জবি শিক্ষার্থীদের Logo বাংলাদেশ কারো দয়া নয়, ন্যায্য হিস্যা চায়- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল এ ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে আসার পথে (১) যুবক আটক Logo ডিবি কর্তৃক ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১০২ কেজি গাঁজাসহ দুই চিহ্নিত মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo কোরবানি ঈদে প্রত্যেক হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo সাজেকে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু Logo খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ০২টি বিদেশী পিস্তল ও ০২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি Logo জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল, সদস্য সচিব জাহিদুল Logo বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস কি? Logo মেহেরপুর জেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ জামাল গ্রেপ্তার

বাউফলে মারধরে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আহত মো. শাহ আলম রাঢ়ীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে।
সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ, শুক্রবার গোসিংগা গ্রামে ছাগলে শাহ আলম রাঢ়ীর ক্ষেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশি রাজু ঘরামির (৬০) কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাজমা বেগম বাড়িতে চলে যায়। ওই ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ঘরামি ২০-২২ জনের একটি দল নিয়ে শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা নাজমা বেগমকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী শাহ আলম ও তার ছেলে রাকিব (২০) এগিয়ে গেলে তাদের দুইজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৩ মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২২।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন,‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনার সময়ই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাবি মেনে নিয়েছে সরকার জবি শিক্ষার্থীদের

বাউফলে মারধরে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আহত মো. শাহ আলম রাঢ়ীর (৫০) মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামে।
সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ, শুক্রবার গোসিংগা গ্রামে ছাগলে শাহ আলম রাঢ়ীর ক্ষেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশি রাজু ঘরামির (৬০) কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নাজমা বেগম বাড়িতে চলে যায়। ওই ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজু ঘরামি ২০-২২ জনের একটি দল নিয়ে শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা নাজমা বেগমকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী শাহ আলম ও তার ছেলে রাকিব (২০) এগিয়ে গেলে তাদের দুইজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২৩ মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে বাউফল থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ২২।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন,‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনার সময়ই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’