
আলী আহসান রবি: ঢাকা, ৫ই জুলাই, ২০২৫, ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় ৪ঠা জুলাই ২০২৫ তারিখে ‘চলচ্চিত্র অনুদান—নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, যারা অনুদান দেবেন তারাই এবার নিয়েছেন অনুদান। প্রকাশিত এই সংবাদে অনুদান কমিটির স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
উল্লিখিত বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা হলো, ‘‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫ মেনেই অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে গঠিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদন যাচাই-বাছাইপূর্বক সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে। এই দুই কমিটি ছিল ১১ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ পাঁচ জন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত গল্প/চিত্রনাট্য এবং আবেদন অনুদান কমিটি মূল্যায়ন করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, অনুদান প্রদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচনের লক্ষ্যে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটি ছিল নয় সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ চার জন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। নীতিমালার আলোকে অনুদান কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করেছে।’’
সংবাদে আরও বলা হয়েছে, ‘‘সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদান পাওয়া মো. আবিদ মল্লিক চলচ্চিত্র অনুদান উপ-কমিটির সদস্য।’’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, ‘‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫-এ ‘চলচ্চিত্র অনুদান উপ-কমিটি’ নামে কোনো কমিটি নেই।’’ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান তথ্য মন্ত্রণালয় সংস্কারে সার্চ কমিটির সদস্য।’’ বিষয়টিতে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, ‘‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে।’’ সংবাদে আরও বলা হয়েছে, ‘‘সাদিয়া খালিদ রীতি রয়েছেন চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং চলচ্চিত্র অনুদান স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য।’’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, ‘‘সাদিয়া খালিদ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটিতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য। তাঁর ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো কমিটির সদস্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না—এমন কোনো বিষয় ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’-এর কোথাও উল্লেখ নেই।’’
সংবাদে অন্য যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোও ভিত্তিহীন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় ‘চলচ্চিত্র অনুদান—নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।