ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাজারীবাগে অটোরিকশা বিক্রির টাকা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, একজনের মৃত্যু: পাঁচ আসামি গ্রেফতার Logo রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা Logo জুলাই আর্ট ওয়ার্ক এর উদ্বোধন: দেয়ালের ভাষায় ইতিহাস, স্মৃতি ও প্রতিরোধের চিত্রায়ণ Logo ডিবির অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আট নেতাকর্মী গ্রেফতার Logo গুলশানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি মামলায় পলাতক আসামি জানে আলম অপু গ্রেফতার Logo আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, মেজর সাদিক কে Logo রাণীশংকৈলে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত Logo ৩৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এর সহিত মতবিনিময় সভায় কেএমপি কমিশনার Logo গাছের চারা উপহার দিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এডুকেশন কেয়ার পয়েন্টের

বাউফলে সাধারণ মানুষের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ী উধাও

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী ) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে শামিম খান নামের এক ব্যবসায়ী উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শামিমের খোঁজ না পেয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারিদের মাথায় হাত পড়েছে। শামিম পৌর শহরের বকুলতলা সড়কের নীল খানের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌরশহরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের সামনে আনছার মিয়ার বাসার নীচে স্টল ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন শামিম। এরপর থেকে সরকারি চাকুরিজীবী ও শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। সুদের বিনিময়ে ব্যাংকে টাকা জমা না রেখে হালাল পদ্ধতিতে তার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের আহবান জানান। শামিমের অভিনব ফাঁদে পা দিয়ে কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১০ লাখ আবার অনেকে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে কয়েকজনকে গ্রান্টার করে মোটা অংকের ঋণ নেন শামিম। এভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি লাপাত্তা হয়ে যান।

প্রতারণার শিকার গৃহিনী নাঈমা বলেন, আমার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছেন শামিম। আসাদ তালুকদার বলেন, আমার বোন ও ভাগ্নির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা, প্রভাষক ফাতিমা বেগমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, আনসার মিয়ার মেয়ে তমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং আনসার মিয়ার ছেলে রিজনকে গ্রান্টার করে ব্রাক থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ তুলে নেন শামিম।

এক ভুক্তভোগী বলেন, শামিম মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৫/৬ বছর আগে ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে রাতারাতি বদলে যান তিনি। পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি গা ঢাকা দেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ব্যবসায়ী শামিম খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ওসি আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাজারীবাগে অটোরিকশা বিক্রির টাকা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, একজনের মৃত্যু: পাঁচ আসামি গ্রেফতার

বাউফলে সাধারণ মানুষের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ী উধাও

আপডেট সময় ০৫:১৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী ) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে শামিম খান নামের এক ব্যবসায়ী উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার (২৭ জুলাই) থেকে শামিমের খোঁজ না পেয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারিদের মাথায় হাত পড়েছে। শামিম পৌর শহরের বকুলতলা সড়কের নীল খানের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌরশহরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের সামনে আনছার মিয়ার বাসার নীচে স্টল ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন শামিম। এরপর থেকে সরকারি চাকুরিজীবী ও শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। সুদের বিনিময়ে ব্যাংকে টাকা জমা না রেখে হালাল পদ্ধতিতে তার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের আহবান জানান। শামিমের অভিনব ফাঁদে পা দিয়ে কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১০ লাখ আবার অনেকে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে কয়েকজনকে গ্রান্টার করে মোটা অংকের ঋণ নেন শামিম। এভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি লাপাত্তা হয়ে যান।

প্রতারণার শিকার গৃহিনী নাঈমা বলেন, আমার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছেন শামিম। আসাদ তালুকদার বলেন, আমার বোন ও ভাগ্নির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা, প্রভাষক ফাতিমা বেগমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, আনসার মিয়ার মেয়ে তমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং আনসার মিয়ার ছেলে রিজনকে গ্রান্টার করে ব্রাক থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ তুলে নেন শামিম।

এক ভুক্তভোগী বলেন, শামিম মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৫/৬ বছর আগে ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে রাতারাতি বদলে যান তিনি। পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি গা ঢাকা দেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ব্যবসায়ী শামিম খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ওসি আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।