ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), সাতক্ষীরার শো-রুম পুনঃ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত Logo পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় মন্ত্রণালয়ের এক বছরের উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ Logo পদ্মা সেতু সাইট অফিসে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo রাঙামাটির জুড়াছড়ি বগাখালী সীমান্ত থেকে আধার কার্ডসহ এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি Logo ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত অজ্ঞাতপরিচয় ছয় মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। Logo বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ১০৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার Logo সচেতনতামূলক কর্মশালায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারঃ কেএমপি Logo রাজশাহীর হুন্ডি ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে আটক  Logo সিএমপি’র হালিশহর থানা পুলিশের অভিযানে চাঞ্চল্যকর প্রবাসীর মালামাল ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ০৭(সাত) ডাকাত সদস্য গ্রেফতার এবং ডাকাতির মালামাল উদ্ধার Logo অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিগত এক বছরে স্বাস্থ্যখাতের অর্জন এবং ভবিষ্যৎ সংস্কার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং করেন

রাজশাহীর হুন্ডি ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে আটক 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন গোপনে থাকা রাজশাহীর আলোচিত হুন্ডি ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমান মুকুলকে (৪৫) কক্সবাজারে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।
পুলিশ জানায়, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহীতে মুকুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর কাঁঠালবাড়িয়া গোবিন্দপুর মহল্লার বাসিন্দা মুকুল ‘হুন্ডি মুকুল’ নামে পরিচিত। এক সময় মুদিদোকানি হলেও বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে হুন্ডি কারবারিদের একটি তালিকা দেওয়া হয়। রাজশাহীর সিন্ডিকেটের প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে ছিল মুকুলের নাম।
সূত্র বলছে, ভারতের গরু পাচার সিন্ডিকেটের হোতা এনামুলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এনামুল এক হাজার রুপি পাঠিয়েছিলেন মুকুলের কাছে, যার অর্ধেক মুকুল আত্মসাৎ করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুকুল দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছিলেন।
মুকুল অবৈধ টাকাকে বৈধ করতে ঠিকাদারি ব্যবসায় নাম লেখান। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে কয়েক বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ করেন তিনি। যদিও এসব প্রকল্পে লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।
সর্বশেষ গোদাগাড়ী উপজেলার একটি বালুমহালের ইজারাও বাগিয়ে নেন মুকুল। আত্মগোপনে থাকাকালেও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রাজশাহীতে বিক্ষোভ হয়।
ওসি ইলিয়াস খান জানান, গ্রেপ্তার মুকুলকে রাজশাহীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে কক্সবাজার আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), সাতক্ষীরার শো-রুম পুনঃ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

রাজশাহীর হুন্ডি ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে আটক 

আপডেট সময় ১২:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন গোপনে থাকা রাজশাহীর আলোচিত হুন্ডি ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমান মুকুলকে (৪৫) কক্সবাজারে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান।
পুলিশ জানায়, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় রাজশাহীতে মুকুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর কাঁঠালবাড়িয়া গোবিন্দপুর মহল্লার বাসিন্দা মুকুল ‘হুন্ডি মুকুল’ নামে পরিচিত। এক সময় মুদিদোকানি হলেও বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে হুন্ডি কারবারিদের একটি তালিকা দেওয়া হয়। রাজশাহীর সিন্ডিকেটের প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে ছিল মুকুলের নাম।
সূত্র বলছে, ভারতের গরু পাচার সিন্ডিকেটের হোতা এনামুলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এনামুল এক হাজার রুপি পাঠিয়েছিলেন মুকুলের কাছে, যার অর্ধেক মুকুল আত্মসাৎ করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুকুল দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছিলেন।
মুকুল অবৈধ টাকাকে বৈধ করতে ঠিকাদারি ব্যবসায় নাম লেখান। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে কয়েক বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ করেন তিনি। যদিও এসব প্রকল্পে লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।
সর্বশেষ গোদাগাড়ী উপজেলার একটি বালুমহালের ইজারাও বাগিয়ে নেন মুকুল। আত্মগোপনে থাকাকালেও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে রাজশাহীতে বিক্ষোভ হয়।
ওসি ইলিয়াস খান জানান, গ্রেপ্তার মুকুলকে রাজশাহীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে কক্সবাজার আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।