ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের আট সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ Logo রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo ছাত্র জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে “রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo ৮০০০ পিস ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা Logo নদীবন্দর পরিদর্শনে নৌপরিবহন-উপদেষ্টা Logo গুলশানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির টাকায় ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo ৯০০০ পিস ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo সিলেটের জকিগঞ্জ ৮ গ্রাম থেকে নিখোজ এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার Logo চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার Logo রায়েরবাজার গণকবরের লাশগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বৈষম্য দূর ও সকলের সমঅধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ- পার্বত্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬২৭ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বৈষম্য দূর করা এবং সকলের জন্য সমান অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠাসহ সাম্যের দেশ গড়াই হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকাকে এখন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেয়া ঠিক হবে না।

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেছেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন চারপাশে কোনো পাহাড়ি শিক্ষার্থী ছিল না। তখন থেকে চিন্তা করেছিলাম আর পাহাড় এলাকায় ফিরে যাবো না, মেইনস্ট্রিমে থাকবো। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টেনে তুলবো। সেই ইচ্ছাটাই এখন পূরণ করতে হবে।

উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় আম, আনারস, পেঁপে চাষ এখন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। এখানকার মানুষের আয় ও জীবিকার সংস্থান হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের বাস। এখানকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, আমাদের জন্য ইনক্লুসিভিটি এখন খুব বেশি প্রয়োজন। সকলের সমন্বিত উদ্যোগে এখানকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মত প্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৯৭ এর পার্বত্য চুক্তি ছিল মূলত নেগোশিয়েশন বা সমঝোতাভিত্তিক চুক্তি। তিনি বলেন, তিনি বলেন, আমি এটাকে শান্তি চুক্তি বলি না, এটাকে পার্বত্য চুক্তি বলি। এ বিষয় নিয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বেশির ভাগ মানুষই ইচ্ছুক ছিল। সবাই শান্তিতে বিশ্বাসী। তাই শান্তির প্রত্যাশায় সকলেই ভালো দিকগুলো গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, আমি দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছি। পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্যবাসীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত তাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। পাহাড়ি বাঙালি সবাই উন্নয়ন চায়। তাই সকলেই সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। দেশের উন্নয়নে সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আজ সকালে সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে জাতীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের আট সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ

বৈষম্য দূর ও সকলের সমঅধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ- পার্বত্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বৈষম্য দূর করা এবং সকলের জন্য সমান অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠাসহ সাম্যের দেশ গড়াই হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকাকে এখন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেয়া ঠিক হবে না।

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেছেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম, তখন চারপাশে কোনো পাহাড়ি শিক্ষার্থী ছিল না। তখন থেকে চিন্তা করেছিলাম আর পাহাড় এলাকায় ফিরে যাবো না, মেইনস্ট্রিমে থাকবো। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে টেনে তুলবো। সেই ইচ্ছাটাই এখন পূরণ করতে হবে।

উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় আম, আনারস, পেঁপে চাষ এখন ব্যাপক আকারে হচ্ছে। এখানকার মানুষের আয় ও জীবিকার সংস্থান হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের বাস। এখানকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, আমাদের জন্য ইনক্লুসিভিটি এখন খুব বেশি প্রয়োজন। সকলের সমন্বিত উদ্যোগে এখানকার উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মত প্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৯৭ এর পার্বত্য চুক্তি ছিল মূলত নেগোশিয়েশন বা সমঝোতাভিত্তিক চুক্তি। তিনি বলেন, তিনি বলেন, আমি এটাকে শান্তি চুক্তি বলি না, এটাকে পার্বত্য চুক্তি বলি। এ বিষয় নিয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বেশির ভাগ মানুষই ইচ্ছুক ছিল। সবাই শান্তিতে বিশ্বাসী। তাই শান্তির প্রত্যাশায় সকলেই ভালো দিকগুলো গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, আমি দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছি। পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্যবাসীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত তাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। পাহাড়ি বাঙালি সবাই উন্নয়ন চায়। তাই সকলেই সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। দেশের উন্নয়নে সকলকেই একযোগে কাজ করতে হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আজ সকালে সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে জাতীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।