
অনলাইন ডেক্স : দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মারুফাত হুসাইন এর দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন এর তত্ত্বাবধানে এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহাম্মদ আলমগীর পিপিএম এর নেতৃত্বে ডিবির একটি চৌকস টিম কাহারোল থানা পুলিশের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭/০৮/২০২৫ খ্রি. সন্ধ্যার পর থেকে রাতব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা চোরচক্রের ০৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে চুরি করার সরঞ্জাম, চোরাই মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণঃ
১. মোঃ আব্দুল জব্বার (৪৮), পিতা- মৃত আমিরউদ্দিন, সাং- কাশিমপুর, পঞ্চগড় সদর।
২. মোঃ আক্তারুজ্জামান (৪০), পিতা- মোঃ আব্দুল মোত্তালেব, সাং- কমলাপাড়া, পঞ্চগড় সদর।
৩. মোঃ আইয়ুব আলী (৫০), পিতা- মৃত রফিকুল ইসলাম, সাং- বক্রিমপুর, পোঃ মোকন্দপুর।
৪. মোঃ তরিকুল ইসলাম (৫২), পিতা- মৃত জামাল উদ্দিন, সাং- মোহাম্মদপুর।
৫. শ্রী ফুলেন চন্দ্র রায় (৫৬), পিতা- মৃত চান্দিয়া বর্মন, সাং- ছাতইল, কাহারোল, দিনাজপুর।
৬. মোঃ মাসুদ রানা (৪০), পিতা- মোকছেদ আলী, সাং- বলরামপুর, থানা- আটোয়ারী, পঞ্চগড়।
চক্রের কার্যপদ্ধতিঃ
আসামীরা রাতের আঁধারে বসতবাড়ির পানির ট্যাংক ও টিউবওয়েলের পানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর বাড়ির গ্রীল কেটে বা অন্যভাবে ঘরে প্রবেশ করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করত।
উদ্ধারকৃত মালামালঃ
১। রেঞ্জ ১টি, প্লাস ১টি।
২। ছোড়া ২টি, হাতুড়ি ১টি।
৩। হ্যাসকোব্লেড ১টি।
৪। তালা কাটার যন্ত্রের হাতল ২টি।
৫। ঘুমের ওষুধ ১০০ পিস, গুড়া ৩ পোটলা (একটি বৈয়মে)।
৬। কাসার হাড়ি ১টি, প্লেট ৬টি, ঘটি ১টি, বাটি ৫টি।
৭। চুরির কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ৫টি।
৮। নগদ টাকা ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)।
গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ আব্দুল জব্বারের নামে বিভিন্ন থানায় মোট ১৪টি চুরির মামলা রয়েছে। অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধেও একাধিক চুরির মামলা চলমান আছে।