ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তারই ১৬ স্ত্রী Logo শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান: এ.জি.এস সহ ছাত্রদলের ৩ প্রার্থী Logo প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হবেনা: বিএমএসএফ Logo পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব – উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo পিরোজপুরে জামায়াতের শতাধিক ট্রলার নিয়ে নৌবহর অনুষ্ঠিত  Logo বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি Logo পিরোজপুর পুলিশ লাইন্স ফোর্স ব্যারাক ভবনের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের Logo গবাদি প্রাণীতে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ভবিষ্যতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo যশোরে বিশেষ অভিযানে আন্তঃ জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ০৪(চার) সদস্য গ্রেফতার ও ০৭(সাত) টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo হালাল সার্টিফিকেশন কার্যক্রমে ওআইসি’র সহযোগিতা চাইলেন ধর্ম উপদেষ্টা

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তারই ১৬ স্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একের পর এক বিয়ে।এরপর নানা অজুহাতে নির্যাতন করে সম্পর্ক ছাড়াছাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে। শুধু প্রতারণা করে বিয়েই নয়, তার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। এসব ঘটনায় বন কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

বরিশালের কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ভুক্তভোগী পরিবার ও সুশীল সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার বাসিন্দা। আগে ঢাকা, খুলনা, বাকেরগহাট, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি অন্তত ১৬টি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, কবির হোসেন বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হওয়ার সুযোগ বা সম্পত্তির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে একে একে সংসার ভাঙেন। এভাবে ঢাকার নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ অন্তত ১৬ জন নারী তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

সবশেষ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে বিয়ে করেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির অংশ লিখে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। রাজি না হওয়ায় খাদিজাকে বরিশালের সরকারি বাসভবন থেকে বের করে দেন কবির। খাদিজা অভিযোগ করে বলেন, আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করেন, থানা, আদালতে এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো বিচার পাননি তারা। একবার দাপ্তরিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেও প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় কবির হোসেন আইনের ফাঁকফোকরে দ্রুত জামিন পেয়ে যান। এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভুক্তভোগী নারীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তবে এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিতে রাজি হননি তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া এ বিষয়ে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটওয়ারীও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তারই ১৬ স্ত্রী

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তারই ১৬ স্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:২৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একের পর এক বিয়ে।এরপর নানা অজুহাতে নির্যাতন করে সম্পর্ক ছাড়াছাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে। শুধু প্রতারণা করে বিয়েই নয়, তার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। এসব ঘটনায় বন কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

বরিশালের কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ভুক্তভোগী পরিবার ও সুশীল সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কবির হোসেন চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার বাসিন্দা। আগে ঢাকা, খুলনা, বাকেরগহাট, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি অন্তত ১৬টি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, কবির হোসেন বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হওয়ার সুযোগ বা সম্পত্তির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে একে একে সংসার ভাঙেন। এভাবে ঢাকার নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ অন্তত ১৬ জন নারী তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

সবশেষ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে বিয়ে করেন বন কর্মকর্তা কবির হোসেন। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির অংশ লিখে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। রাজি না হওয়ায় খাদিজাকে বরিশালের সরকারি বাসভবন থেকে বের করে দেন কবির। খাদিজা অভিযোগ করে বলেন, আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় নির্যাতন করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করেন, থানা, আদালতে এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও কোনো বিচার পাননি তারা। একবার দাপ্তরিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেও প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় কবির হোসেন আইনের ফাঁকফোকরে দ্রুত জামিন পেয়ে যান। এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ভুক্তভোগী নারীদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তবে এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিতে রাজি হননি তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া এ বিষয়ে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটওয়ারীও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।