ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তারই ১৬ স্ত্রী Logo শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান: এ.জি.এস সহ ছাত্রদলের ৩ প্রার্থী Logo প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হবেনা: বিএমএসএফ Logo পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব – উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo পিরোজপুরে জামায়াতের শতাধিক ট্রলার নিয়ে নৌবহর অনুষ্ঠিত  Logo বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি Logo পিরোজপুর পুলিশ লাইন্স ফোর্স ব্যারাক ভবনের সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের Logo গবাদি প্রাণীতে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ভবিষ্যতে মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo যশোরে বিশেষ অভিযানে আন্তঃ জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ০৪(চার) সদস্য গ্রেফতার ও ০৭(সাত) টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo হালাল সার্টিফিকেশন কার্যক্রমে ওআইসি’র সহযোগিতা চাইলেন ধর্ম উপদেষ্টা

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকায় ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিনব উদ্যোগ’ বা ‘সার আমদানিতে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ’ প্রভৃতি শিরোনামে প্রকাশিত পোস্ট/ প্রতিবেদনসমূহের প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহের মতামত/সংবাদের বিষয়বস্তু ভিত্তিহীন, মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং অসত্য তথ্য সম্বলিত। প্রকাশিত পোস্ট/ প্রতিবেদনসমূহ ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার বলে মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পোস্ট/ প্রতিবেদনসমূহের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় (জি-টু-জি) সার আমদানীর পাশাপাশি বেসরকারী আমদানীকারকদের মাধ্যমেও নন-ইউরিয়া সার আমদানী করে আসছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নন-ইউরিয়া সার আমদানি, বিক্রয় এবং ভর্তুকি বিতরণ/প্রদান পদ্ধতি সংক্রান্ত  ২০১৫ সালে জারীকৃত পরিপত্রের অনুচ্ছেদ ৮(গ) ‘‘মোট মূল্যে দাখিলকৃত আবেদনপত্র সমূহ হতে সর্বনিম্ন মূল্যের ক্রমানুসারে বেসরকারী পর্যায়ের আমদানিকারকগণের সার ভর্তুকির অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত হবে। মূল্যের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সমসাময়িক সময়ে বিএডিসি কর্তৃক আমদানিকৃত সারের মূল্য এবং সারের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রকাশকারী বুলেটিন আরগুস (Argus FMB) ও’ফার্টিকন FERTECON-এর মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত দরের সাহায্য নেয়া হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মর্মে বিবেচিত হবে।’’
এ  পদ্ধতি অনুসরণ করে নন-ইউরিয়া সারের  আমদানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উক্ত পদ্ধতিতে প্রতি ধাপের টেন্ডারে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ (কম বেশী ৩০,০০০ মে.টন) সারের জন্য দরপ্রস্তাব দাখিল করতে হয়। সরকারের সারভিত্তিক আমদানি চাহিদা উক্ত সিলিং এর চেয়ে অনেক বেশী হওয়ায় উক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী দর প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারীগণ কর্তৃক একই দেশের একই সারের জন্য দাখিলকৃত দরসমূহের মধ্যে সর্বনিম্ন দরের পাশাপাশি দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রভৃতি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে টন প্রতি ২০ মার্কিন ডলার থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশী ব্যবধানে সার সরবরাহের সুযোগ তৈরী হত। এতে সরকার বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ঘটত। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর, নির্দিষ্ট সারের জন্য নির্দিষ্ট দেশের আমদানিকারকগণ কর্তৃক প্রদত্ত সমুদয় দরের মধ্যে কেবল সর্বনিম্ন দরে সার সরবরাহে সম্মতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্রয়াদেশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং গত অর্থ বছর থেকেই তা কার্যকর করা হয়। ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হয় এবং আমদানীকারকদেরও অসম লাভের পথ সংকুচিত হয়।

সার আমদানি প্রক্রিয়ায় প্রতি টন সারের বাজার মূল্যের সাথে জাহাজ ভাড়া, ডিসচার্জ খরচ এবং স্থানীয় পরিবহণসহ অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে আমদানিকারকগণ দেশভিত্তিক দর প্রস্তাব প্রদান করে। উল্লেখ্য, কোন একক দেশের পক্ষে একই সময়ে চাহিদার সম্পূর্ণ জোগান দেয়া সম্ভব হয়না বিধায় যথাসময়ে সারের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েই সরকার দীর্ঘকাল থেকে একই সার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির অনুমতি প্রদান করে আসছে। অবস্থান ও দূরত্বের কারণে বিভিন্ন দেশ হতে সার আনয়নের জাহাজ ভাড়া কম বেশী হয়ে থাকে বিধায় একই সারের সিএফআর মূল্য একই সময়ে দেশভেদে ভিন্ন হয়। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় (জি-টু-জি) বিএডিসিও একই নিয়মে সুদীর্ঘকাল ধরে সার আমদানী করে আসছে।

জাহাজ ভাড়া বাদে কেবল প্রতিটন সারের মূল্য (এফওবি) এবং জাহাজ ভাড়াসহ প্রতি টন সারের মূল্য (সিএফআর) নির্ধারিত হয়ে থাকে বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচারিত ‘আরগুস ও ‘ফার্টিকন’ নামীয় দুটি সার বিষয়ক সাপ্তাহিক বুলেটিনে প্রকাশিত অতি সাম্প্রতিক মূল্য তালিকা অনুসরণ করে। বাংলাদেশ সরকার এবং সার উৎপাদনকারী দেশগুলো মূলতঃ উক্ত দুটি বুলেটিনে প্রকাশিত অঞ্চল দেশভিত্তিক সাম্প্রতিক সারের মূল্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ বহু বছর ধরে সারের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত উক্তরূপ বিষয়ে সম্যক ধারণা বাতীত কোন একটি স্বার্থান্বেষী চক্রের মনগড়াভাবে  দেয়া তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত সংবেদনশীল একটি বিষয়ে পোস্ট/সংবাদ প্রকাশের পূর্বে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হলে এ ধরণের বিভ্রান্তি এড়ানো যেত।

প্রাসঙ্গিক যে, কতিপয় আমদানিকারক এ অর্থবছরের দর প্রস্তাব গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরকারি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে দেশভেদে ২৫ মার্কিন ডলার থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশী মূল্যে সার সরবরাহের প্রস্তাব করে। সরকারি স্বার্থ রক্ষা তথা ব্যয় সাশ্রয়ের নিমিত্ত কৃষি মন্ত্রণালয় স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রস্তাবিত অতি উচ্চ মূল্য গ্রহণ না করে নির্দিষ্ট সারের জন্য প্রণীত দেশভিত্তিক দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দরে সার সরবরাহের জন্য সকল আমদানীকারককে প্রস্তাব দেয়। প্রাপ্ত দেশভিত্তিক সর্বনিম্ন দর বা দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দর, উভয়ের মধ্যে যেটি কম, সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় কার্যক্রম নিয়েছে এবং কার্যাদেশ দিয়েছে।
সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপণকারী মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১ম পর্যায়ে ১৯/০৮/২০২৫ খ্রি. তারিখে ৩০,০০০ মেট্রিক টন টিএসপি, ২,৫৫,০০০ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৯০,০০০ মেট্রিক টন এমওপি সার সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ঐ একই সরকারি মূল্যে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পুনরায় সম্মত ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (তন্মধ্যে দুটির আবেদন মোতাবেক পূর্বের আদেশের দেশ সংশোধনপূর্বক) ২য় ধাপে ০৩/০৯/২০২৫ খ্রি. তারিখে ৯০,০০০ টন টিএসপি ও ১,২০,০০০ মেট্রিক টন ডিএপি সার সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যাদেশগুলো যাচাই করলেই প্রতীয়মান হবে যে,

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তারই ১৬ স্ত্রী

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয় বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

আপডেট সময় ০১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আলী আহসান রবি: সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকায় ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিনব উদ্যোগ’ বা ‘সার আমদানিতে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ’ প্রভৃতি শিরোনামে প্রকাশিত পোস্ট/ প্রতিবেদনসমূহের প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহের মতামত/সংবাদের বিষয়বস্তু ভিত্তিহীন, মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং অসত্য তথ্য সম্বলিত। প্রকাশিত পোস্ট/ প্রতিবেদনসমূহ ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার বলে মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পোস্ট/ প্রতিবেদনসমূহের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় (জি-টু-জি) সার আমদানীর পাশাপাশি বেসরকারী আমদানীকারকদের মাধ্যমেও নন-ইউরিয়া সার আমদানী করে আসছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নন-ইউরিয়া সার আমদানি, বিক্রয় এবং ভর্তুকি বিতরণ/প্রদান পদ্ধতি সংক্রান্ত  ২০১৫ সালে জারীকৃত পরিপত্রের অনুচ্ছেদ ৮(গ) ‘‘মোট মূল্যে দাখিলকৃত আবেদনপত্র সমূহ হতে সর্বনিম্ন মূল্যের ক্রমানুসারে বেসরকারী পর্যায়ের আমদানিকারকগণের সার ভর্তুকির অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত হবে। মূল্যের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সমসাময়িক সময়ে বিএডিসি কর্তৃক আমদানিকৃত সারের মূল্য এবং সারের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রকাশকারী বুলেটিন আরগুস (Argus FMB) ও’ফার্টিকন FERTECON-এর মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত দরের সাহায্য নেয়া হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মর্মে বিবেচিত হবে।’’
এ  পদ্ধতি অনুসরণ করে নন-ইউরিয়া সারের  আমদানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উক্ত পদ্ধতিতে প্রতি ধাপের টেন্ডারে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ (কম বেশী ৩০,০০০ মে.টন) সারের জন্য দরপ্রস্তাব দাখিল করতে হয়। সরকারের সারভিত্তিক আমদানি চাহিদা উক্ত সিলিং এর চেয়ে অনেক বেশী হওয়ায় উক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী দর প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারীগণ কর্তৃক একই দেশের একই সারের জন্য দাখিলকৃত দরসমূহের মধ্যে সর্বনিম্ন দরের পাশাপাশি দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রভৃতি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে টন প্রতি ২০ মার্কিন ডলার থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশী ব্যবধানে সার সরবরাহের সুযোগ তৈরী হত। এতে সরকার বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ঘটত। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর, নির্দিষ্ট সারের জন্য নির্দিষ্ট দেশের আমদানিকারকগণ কর্তৃক প্রদত্ত সমুদয় দরের মধ্যে কেবল সর্বনিম্ন দরে সার সরবরাহে সম্মতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্রয়াদেশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং গত অর্থ বছর থেকেই তা কার্যকর করা হয়। ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হয় এবং আমদানীকারকদেরও অসম লাভের পথ সংকুচিত হয়।

সার আমদানি প্রক্রিয়ায় প্রতি টন সারের বাজার মূল্যের সাথে জাহাজ ভাড়া, ডিসচার্জ খরচ এবং স্থানীয় পরিবহণসহ অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে আমদানিকারকগণ দেশভিত্তিক দর প্রস্তাব প্রদান করে। উল্লেখ্য, কোন একক দেশের পক্ষে একই সময়ে চাহিদার সম্পূর্ণ জোগান দেয়া সম্ভব হয়না বিধায় যথাসময়ে সারের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েই সরকার দীর্ঘকাল থেকে একই সার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির অনুমতি প্রদান করে আসছে। অবস্থান ও দূরত্বের কারণে বিভিন্ন দেশ হতে সার আনয়নের জাহাজ ভাড়া কম বেশী হয়ে থাকে বিধায় একই সারের সিএফআর মূল্য একই সময়ে দেশভেদে ভিন্ন হয়। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় (জি-টু-জি) বিএডিসিও একই নিয়মে সুদীর্ঘকাল ধরে সার আমদানী করে আসছে।

জাহাজ ভাড়া বাদে কেবল প্রতিটন সারের মূল্য (এফওবি) এবং জাহাজ ভাড়াসহ প্রতি টন সারের মূল্য (সিএফআর) নির্ধারিত হয়ে থাকে বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচারিত ‘আরগুস ও ‘ফার্টিকন’ নামীয় দুটি সার বিষয়ক সাপ্তাহিক বুলেটিনে প্রকাশিত অতি সাম্প্রতিক মূল্য তালিকা অনুসরণ করে। বাংলাদেশ সরকার এবং সার উৎপাদনকারী দেশগুলো মূলতঃ উক্ত দুটি বুলেটিনে প্রকাশিত অঞ্চল দেশভিত্তিক সাম্প্রতিক সারের মূল্যের ভিত্তিতে দীর্ঘ বহু বছর ধরে সারের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত উক্তরূপ বিষয়ে সম্যক ধারণা বাতীত কোন একটি স্বার্থান্বেষী চক্রের মনগড়াভাবে  দেয়া তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত সংবেদনশীল একটি বিষয়ে পোস্ট/সংবাদ প্রকাশের পূর্বে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হলে এ ধরণের বিভ্রান্তি এড়ানো যেত।

প্রাসঙ্গিক যে, কতিপয় আমদানিকারক এ অর্থবছরের দর প্রস্তাব গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরকারি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে দেশভেদে ২৫ মার্কিন ডলার থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার বা তারও বেশী মূল্যে সার সরবরাহের প্রস্তাব করে। সরকারি স্বার্থ রক্ষা তথা ব্যয় সাশ্রয়ের নিমিত্ত কৃষি মন্ত্রণালয় স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রস্তাবিত অতি উচ্চ মূল্য গ্রহণ না করে নির্দিষ্ট সারের জন্য প্রণীত দেশভিত্তিক দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দরে সার সরবরাহের জন্য সকল আমদানীকারককে প্রস্তাব দেয়। প্রাপ্ত দেশভিত্তিক সর্বনিম্ন দর বা দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দর, উভয়ের মধ্যে যেটি কম, সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় কার্যক্রম নিয়েছে এবং কার্যাদেশ দিয়েছে।
সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপণকারী মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১ম পর্যায়ে ১৯/০৮/২০২৫ খ্রি. তারিখে ৩০,০০০ মেট্রিক টন টিএসপি, ২,৫৫,০০০ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৯০,০০০ মেট্রিক টন এমওপি সার সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ঐ একই সরকারি মূল্যে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পুনরায় সম্মত ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (তন্মধ্যে দুটির আবেদন মোতাবেক পূর্বের আদেশের দেশ সংশোধনপূর্বক) ২য় ধাপে ০৩/০৯/২০২৫ খ্রি. তারিখে ৯০,০০০ টন টিএসপি ও ১,২০,০০০ মেট্রিক টন ডিএপি সার সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যাদেশগুলো যাচাই করলেই প্রতীয়মান হবে যে,