ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধর্মপাশায় বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আনিসুল হকের জনসভা ও লিফলেট বিতরণ Logo সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে কবির নেওয়াজ রাজ গভীর শোকাহত Logo কৃষি উপদেষ্টার সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের জন্য বেপজার সাথে একটি জমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে Logo নদী দূষণের দায়ে গাজীপুরে ৯টি অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন। Logo প্রত্যাহার করা হলো ১০২ জন ভূমি কমিশনার কে Logo অ্যামেচার রেডিও কার্যক্রমকে আরো সংগঠিত করার আহ্বান Logo এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo পার্বত্য তিন জেলায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপিত Logo গণপূর্ত অধিদপ্তরের ০৫ জন প্রকৌশলী ও স্হাপত্য অধিদপ্তরের ০১ জন স্থপতিকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্হলে অনুপস্হিত থাকায় ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হয়েছে

জবাই তো দিবেন, একটু সময় দেন’

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, এসময় পুলিশের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় সোলাইমান সেলিমসহ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম ও অন্যান্য আসামিদের।  এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। অন্যান্য দিনের মতো কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সারি করে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে দাঁড়ান। প্রত্যেক আসামির আইনজীবীরাও কাছে চলে আসেন। এ সময় আসামিরা ওকালতনামায় স্বাক্ষরসহ তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এসময় সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কথা বলার সময় আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন জানতে চান। এ সময় সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।’ কিছুক্ষণ পরই এজলাসে বিচারক আসেন। তবুও কর্ণপাত করেন না সোলাইমান সেলিম। এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দিবেন। একটু সময় দেন।’ এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে। বুঝা শেষ।’ শুনানি শেষে সোলাইমান সেলিমকে হাজতখানায় নেওয়া হয়

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মপাশায় বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আনিসুল হকের জনসভা ও লিফলেট বিতরণ

জবাই তো দিবেন, একটু সময় দেন’

আপডেট সময় ১০:০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

নিউজ ডেস্ক: হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, এসময় পুলিশের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে তোলা হয় সোলাইমান সেলিমসহ সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম ও অন্যান্য আসামিদের।  এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। অন্যান্য দিনের মতো কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সারি করে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে দাঁড়ান। প্রত্যেক আসামির আইনজীবীরাও কাছে চলে আসেন। এ সময় আসামিরা ওকালতনামায় স্বাক্ষরসহ তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এসময় সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কথা বলার সময় আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন জানতে চান। এ সময় সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।’ কিছুক্ষণ পরই এজলাসে বিচারক আসেন। তবুও কর্ণপাত করেন না সোলাইমান সেলিম। এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দিবেন। একটু সময় দেন।’ এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে। বুঝা শেষ।’ শুনানি শেষে সোলাইমান সেলিমকে হাজতখানায় নেওয়া হয়