ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আইসেসকোকে বাংলাদেশে ইসলামিক কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার আহ্বান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার Logo ৩২টি চলচ্চিত্রকে মোট ৯ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় Logo যাত্রাবাড়ীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ Logo বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন , হাসিনার আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ডাকাতদের গ্রাম Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পটপরিবর্তন Logo কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে অস্ত্রের লাইসেন্সে দেওয়া হয় Logo পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী ঘোষণা Logo “জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি” চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

নারী দিবস মানেই, নারীর মর্যাদা ও সুবিচারের দিন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে নারীদের জাগ্রত করাই নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ নারী দিবস পালনের পটভূমি হচ্ছে এই দিনে আমেরিকায় ঘটে যাওয়া এক আন্দোলন। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের সুতা কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়।সেদিন বেতন বৈষম্য, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আর কাজের বৈরি পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নারীরা একজোট হলে তাদের ওপর কারখানা মালিকরা আর মদদপুষ্ট প্রশাসন দমন-পীড়ন চালায়।প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ১৯০৮ সালে জার্মানিতে এ দিনটি স্মরণে প্রথম নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান করলে এর পর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়ে আসছে।আমি ক্ষুদ্র কলাম লেখক কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।প্রতিটি নারী দিবসেই নতুন থিম বা প্রতিপাদ্য রাখা হয়। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘আমি সমলিঙ্গের প্রতীক: নারীর সমস্ত অধিকার নিয়ে জন্মেছি। নারীরা বোঝাতে চায় সব নারীর উচিত তাদের অধিকার রক্ষা করা। নিজের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া, অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে লিঙ্গ সাম্যতা অরক্ষিত সেখানে আওয়াজ তোলা।আমার জানা মতে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৮ মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে আসছে।এবারের নারী দিবসের স্লোগান হলো ‘স্বাধীন বাংলাদেশে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব। নারীর অধিকার রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস” রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সিসি” জার্নালিজম, এলএলবি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসেসকোকে বাংলাদেশে ইসলামিক কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার প্রতিষ্ঠার আহ্বান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার

নারী দিবস মানেই, নারীর মর্যাদা ও সুবিচারের দিন

আপডেট সময় ১০:২৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে নারীদের জাগ্রত করাই নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ নারী দিবস পালনের পটভূমি হচ্ছে এই দিনে আমেরিকায় ঘটে যাওয়া এক আন্দোলন। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের সুতা কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়।সেদিন বেতন বৈষম্য, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা আর কাজের বৈরি পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নারীরা একজোট হলে তাদের ওপর কারখানা মালিকরা আর মদদপুষ্ট প্রশাসন দমন-পীড়ন চালায়।প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ১৯০৮ সালে জার্মানিতে এ দিনটি স্মরণে প্রথম নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান করলে এর পর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী দিনটি পালিত হয়ে আসছে।আমি ক্ষুদ্র কলাম লেখক কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।প্রতিটি নারী দিবসেই নতুন থিম বা প্রতিপাদ্য রাখা হয়। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘আমি সমলিঙ্গের প্রতীক: নারীর সমস্ত অধিকার নিয়ে জন্মেছি। নারীরা বোঝাতে চায় সব নারীর উচিত তাদের অধিকার রক্ষা করা। নিজের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া, অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে লিঙ্গ সাম্যতা অরক্ষিত সেখানে আওয়াজ তোলা।আমার জানা মতে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৮ মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে আসছে।এবারের নারী দিবসের স্লোগান হলো ‘স্বাধীন বাংলাদেশে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব। নারীর অধিকার রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস” রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সিসি” জার্নালিজম, এলএলবি।