ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জের বাঁশতলা বাজারে ৩১দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণে কাজী আলাউদ্দিন Logo সিলেটের কাজিটুলায় গ্যারেজ থেকে রিকশা চুরি, চোরের স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্য Logo নবনিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ শুরু সুনামগঞ্জে Logo দিল্লি থেকে লন্ডন যাচ্ছেন শেখ হাসিনা? Logo অপসংস্কৃতির অন্ধকার থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষায় মঞ্চ নাটকের পুনঃজাগরণ খুবই প্রয়োজন- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা- ধর্ম উপদেষ্টা Logo প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম বিশ্বকে সহায়তা করার জন্য ইসলামী এনজিওগুলিকে সামাজিক ব্যবসা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন Logo জলমহালের প্রকৃত অধিকার মৎস্যজীবীদের- মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Logo ভৈরবে মোবাইল কোর্ট: ১৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ Logo ডিএমপির কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলো তাজিয়া মিছিল

সুবিধাভোগীদের থামানো না গেলে, “জনসেবা” নামের এই নাটক চলতেই থাকবে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমপি (সাংসদ) হওয়া যেন কেবল ক্ষমতা আর প্রভাবের উৎসই নয়, এটি যেন এক প্রকার আর্থিক সুবিধার নিশ্চয়তাও। বিশেষ করে শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা—এটি যেন সাধারণ জনগণের জন্য একপ্রকার অসমতার উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একজন সাধারণ মানুষ যদি বিদেশ থেকে গাড়ি আনতে চায়, তাকে মোটা অঙ্কের শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু একজন এমপি হলেই সেই শুল্ক মুক্ত! প্রশ্ন হলো, এটাই কি জনসেবা?

আমরা জানি, একজন এমপি জনগণের প্রতিনিধি। তার কাজ জনগণের অধিকার রক্ষা করা, দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য কাজ করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক এমপি শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা নিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেন এবং অনেকে তা বিক্রি করে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।

সরকার যদি সত্যিই জনসেবার কথা চিন্তা করে, তাহলে কেন এমপিদের এত বিশেষ সুবিধা দিতে হবে?
সরকার কি তাদের নির্দিষ্ট একটি গাড়ি দিতে পারে না?
অথবা, যদি শুল্কমুক্ত গাড়ি দেওয়াই হয়, তবে এমপি পদ শেষ হওয়ার পর সেই গাড়িটি সরকারের কাছে নির্দিষ্ট মূল্যে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত।

কিন্তু এ ব্যবস্থা কোনো সরকারই করবে না। কারণ, সরকার সব সময় সরকারেরই স্বার্থ দেখে। আর জনগণ? তারা তো বরাবরই অবহেলিত।

আসলে, “জনসেবা” এখন শুধু মুখের বুলি। বাস্তবে এটি ক্ষমতা ও সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার।
বেশিরভাগ এমপিরা যখন কোটি টাকার গাড়ি আনেন, তখন দেশের সাধারণ জনগণের কথা কেউ ভাবে না। আর যারা সত্যিকার জনসেবক, তারা হয়তো সাধারণ গাড়িতেই চলাচল করেন।

প্রস্তাবনা:

১. এমপিদের জন্য নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে সরকারি গাড়ি বরাদ্দ করা।
২. শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনকালে দেওয়া এবং মেয়াদ শেষ হলে সেটি সরকারের কাছে বিক্রি করা বাধ্যতামূলক করা।
৩. যেসব এমপি শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

দিন শেষে, এই সুবিধাভোগীদের থামানো না গেলে, “জনসেবা” নামের এই নাটক চলতেই থাকবে।
সরকার, সরকারই থাকবে।
আর জনগণ, কেবল জনগণই থেকে যাবে!
সংস্কারে নিশ্চিত এটা থাকবে না

কলমে: প্রিসিলা

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জের বাঁশতলা বাজারে ৩১দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণে কাজী আলাউদ্দিন

সুবিধাভোগীদের থামানো না গেলে, “জনসেবা” নামের এই নাটক চলতেই থাকবে

আপডেট সময় ০৫:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমপি (সাংসদ) হওয়া যেন কেবল ক্ষমতা আর প্রভাবের উৎসই নয়, এটি যেন এক প্রকার আর্থিক সুবিধার নিশ্চয়তাও। বিশেষ করে শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা—এটি যেন সাধারণ জনগণের জন্য একপ্রকার অসমতার উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একজন সাধারণ মানুষ যদি বিদেশ থেকে গাড়ি আনতে চায়, তাকে মোটা অঙ্কের শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু একজন এমপি হলেই সেই শুল্ক মুক্ত! প্রশ্ন হলো, এটাই কি জনসেবা?

আমরা জানি, একজন এমপি জনগণের প্রতিনিধি। তার কাজ জনগণের অধিকার রক্ষা করা, দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য কাজ করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক এমপি শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা নিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেন এবং অনেকে তা বিক্রি করে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।

সরকার যদি সত্যিই জনসেবার কথা চিন্তা করে, তাহলে কেন এমপিদের এত বিশেষ সুবিধা দিতে হবে?
সরকার কি তাদের নির্দিষ্ট একটি গাড়ি দিতে পারে না?
অথবা, যদি শুল্কমুক্ত গাড়ি দেওয়াই হয়, তবে এমপি পদ শেষ হওয়ার পর সেই গাড়িটি সরকারের কাছে নির্দিষ্ট মূল্যে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত।

কিন্তু এ ব্যবস্থা কোনো সরকারই করবে না। কারণ, সরকার সব সময় সরকারেরই স্বার্থ দেখে। আর জনগণ? তারা তো বরাবরই অবহেলিত।

আসলে, “জনসেবা” এখন শুধু মুখের বুলি। বাস্তবে এটি ক্ষমতা ও সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার।
বেশিরভাগ এমপিরা যখন কোটি টাকার গাড়ি আনেন, তখন দেশের সাধারণ জনগণের কথা কেউ ভাবে না। আর যারা সত্যিকার জনসেবক, তারা হয়তো সাধারণ গাড়িতেই চলাচল করেন।

প্রস্তাবনা:

১. এমপিদের জন্য নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে সরকারি গাড়ি বরাদ্দ করা।
২. শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনকালে দেওয়া এবং মেয়াদ শেষ হলে সেটি সরকারের কাছে বিক্রি করা বাধ্যতামূলক করা।
৩. যেসব এমপি শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

দিন শেষে, এই সুবিধাভোগীদের থামানো না গেলে, “জনসেবা” নামের এই নাটক চলতেই থাকবে।
সরকার, সরকারই থাকবে।
আর জনগণ, কেবল জনগণই থেকে যাবে!
সংস্কারে নিশ্চিত এটা থাকবে না

কলমে: প্রিসিলা