
আলী আহসান রবি: তারিখ: ০১ জুলাই ২০২৫, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী আলীর ডেইল ও খরেরমুখ এলাকায় দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৯০,০০০ পিস ইয়াবা ও ২৮ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারের সাথে জড়িত ০২ জন নারীসহ ০৩ জনকে আটক করেছে।
গতকাল গভীর রাতে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারেন যে, মায়ানমার হতে সাগর পাড়ি দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তৎক্ষনাৎ বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেন। অধিনায়কের পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ তদারকিতে মাদক পাচারকারীদের ধরতে গভীর রাতেই নাফ নদী ও তীরবর্তী অঞ্চলসহ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সৈকতে বিজিবি’র বেশ কয়েকটি টহলদলকে কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে মাদক কারবারের সাথে জড়িত অপরাধীচক্রকে ধরতে নিবিড় গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে অদ্য ০১ জুলাই ২০২৫ তারিখ ভোরবেলা জানতে পারেন যে, মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে সাগরপথে সংগ্রহ করে সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকার একটি বাড়িতে গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আনুমানিক সকাল ০৬০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকা ঘিরে রেখে বিজিবি’র টহলদল চিরুনী অভিযান চালিয়ে জনৈক মিনারা বেগমের বসত বাড়ি থেকে ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মিনারা বেগম (৩৫) এবং মোঃ কেফায়েত উল্লাহ (১৯) নামের ০২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মিনারা বেগম সাবরাং আলীর ডেইল এলাকার মৃত ছিদ্দিকের মেয়ে এবং কেফায়েত উল্লাহ একই এলাকার ফরিদ আলমের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইয়াবাসহ টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সাবরাং ইউনিয়ন ও নাফ নদীতে অভিযান পরিচালনার সময় টেকনাফের খুরেরমুখ এলাকার জনৈক জমিলা বেগমের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা রক্ষিত থাকার সংবাদ পেয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তাৎক্ষণিকভাবে অপর একটি আভিযানিকদলকে অভিযান পারিচালনায় নিয়োজিত করেন। এসময় বিজিবি আভিযানিকদল সন্দেহজনক বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে কথিত জমিলা বেগমের বাড়ির মুরগীর খামারে গোপনে সংরক্ষিত ২৮ কেজি গাঁজাসহ জমিলা বেগমকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত জমিলা বেগম খরেরমুখ এলাকার মৃত আলী আহমেদের স্ত্রী। তাকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী গাঁজাসহ টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।