ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ফের উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়! Logo মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক সেবা প্রদানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জরুরি উদ্যোগ Logo হংকং-ভিত্তিক হান্ডা বাংলাদেশে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে Logo সুরেশপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার অভিযানে ধরা পড়ল ভারতীয় ‘AC Black’ মদ Logo পুরুষ মহিলা ও তরুণ – স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং আমাদের দেশের মর্যাদা এবং ভবিষ্যত পুনরুদ্ধার করেছিলেন Logo চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলায় আরও এক আসামি গ্রেফতার Logo আগামী ১১ দিন সারাদেশে ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি Logo বাঘ শুধু প্রাণী নয়, আমাদের অহংকার চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগের আহ্বান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার Logo বাউফলে ব্রীজের সাথে কার্গোর ধাক্কায় শ্রমিকের মাথা বিচ্ছিন্ন Logo রংপুরে হিন্দু পাড়ায় হামলার বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন

মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সোনারগাঁওয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ, ২০০০ অবৈধ বার্নার বিচ্ছিন্ন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে
জ্বালানি অপচয় রোধ এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে সৃষ্ট জননিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বেইলর ও নয়াপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে এই অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
অভিযানে মোট ৪টি স্পটে কার্যক্রম চালানো হয়। অভিযানকালে প্রায় ৬.৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং আনুমানিক ২০০০টি অবৈধ আবাসিক বার্নার উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ সংযোগের জন্য ব্যবহৃত ৩৩৫ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়। এছাড়াও, প্লাস্টিক পাইপগুলো উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়।
স্পটভিত্তিক বিস্তারিত
প্রথম স্পটটি ছিল বেইলর, নয়াপুর বাজার সংলগ্ন, যেখানে প্রায় ২ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখান থেকে আনুমানিক ২৫০টি বাড়ির ৪০০টি আবাসিক চুলা এবং প্রায় ২০০ ফুট ২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ উচ্ছেদ করা হয়। দ্বিতীয় স্পটটি ছিল রিয়ামহল সিনেমা হলের বিপরীত পাশে, নয়াপুর, এই ২ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০০টি অবৈধ আবাসিক চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখান থেকে ১৫ ফুট ২ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ৫০ ফুট ১.৫ ইঞ্চি ব্যাসের এমএস পাইপ অপসারণ করা হয়। তৃতীয় স্পটটি ছিল চাঁন সূর্য ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পাশে, হাতুরাপাড়া, এই ১ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৫০০টি অবৈধ আবাসিক চুলা উচ্ছেদ করা হয় এবং ৭০ ফুট ১.২৫ ইঞ্চি ব্যাসের এমএস পাইপ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ, চতুর্থ স্পটটি ছিল চাঁন সূর্য ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে, হাতুরাপাড়া, এখানে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালানো হলেও, উচ্ছেদের খবর পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা প্রায় ৪০০টি আবাসিক চুলার জন্য ব্যবহৃত পাইপ খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতিটি স্থানেই অবৈধ প্লাস্টিক পাইপ উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে সোনারগাঁও এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে ‘কিলিং/ক্যাপিং’ করে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান একদিকে যেমন গ্যাসের অপচয় রোধ করবে, তেমনি অবৈধ সংযোগের কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনা ও জনজীবনের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করবে। এটি সরকারের জ্বালানি খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার একটি অংশ।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জনস্বার্থে অত্যন্ত জরুরি। আশা করা যায়, এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযান ভবিষ্যতে অবৈধ সংযোগ নির্মূল করতে সহায়ক হবে এবং জ্বালানি খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ফের উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়!

মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সোনারগাঁওয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ, ২০০০ অবৈধ বার্নার বিচ্ছিন্ন

আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
জ্বালানি অপচয় রোধ এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে সৃষ্ট জননিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বেইলর ও নয়াপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে এই অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
অভিযানে মোট ৪টি স্পটে কার্যক্রম চালানো হয়। অভিযানকালে প্রায় ৬.৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং আনুমানিক ২০০০টি অবৈধ আবাসিক বার্নার উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ সংযোগের জন্য ব্যবহৃত ৩৩৫ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়। এছাড়াও, প্লাস্টিক পাইপগুলো উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়।
স্পটভিত্তিক বিস্তারিত
প্রথম স্পটটি ছিল বেইলর, নয়াপুর বাজার সংলগ্ন, যেখানে প্রায় ২ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখান থেকে আনুমানিক ২৫০টি বাড়ির ৪০০টি আবাসিক চুলা এবং প্রায় ২০০ ফুট ২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ উচ্ছেদ করা হয়। দ্বিতীয় স্পটটি ছিল রিয়ামহল সিনেমা হলের বিপরীত পাশে, নয়াপুর, এই ২ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০০টি অবৈধ আবাসিক চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখান থেকে ১৫ ফুট ২ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ৫০ ফুট ১.৫ ইঞ্চি ব্যাসের এমএস পাইপ অপসারণ করা হয়। তৃতীয় স্পটটি ছিল চাঁন সূর্য ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পাশে, হাতুরাপাড়া, এই ১ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৫০০টি অবৈধ আবাসিক চুলা উচ্ছেদ করা হয় এবং ৭০ ফুট ১.২৫ ইঞ্চি ব্যাসের এমএস পাইপ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ, চতুর্থ স্পটটি ছিল চাঁন সূর্য ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে, হাতুরাপাড়া, এখানে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালানো হলেও, উচ্ছেদের খবর পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা প্রায় ৪০০টি আবাসিক চুলার জন্য ব্যবহৃত পাইপ খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতিটি স্থানেই অবৈধ প্লাস্টিক পাইপ উৎসস্থলে বিনষ্ট করা হয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে সোনারগাঁও এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে ‘কিলিং/ক্যাপিং’ করে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান একদিকে যেমন গ্যাসের অপচয় রোধ করবে, তেমনি অবৈধ সংযোগের কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনা ও জনজীবনের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করবে। এটি সরকারের জ্বালানি খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার একটি অংশ।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জনস্বার্থে অত্যন্ত জরুরি। আশা করা যায়, এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযান ভবিষ্যতে অবৈধ সংযোগ নির্মূল করতে সহায়ক হবে এবং জ্বালানি খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।