ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কৃষি উপদেষ্টার সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪১.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের জন্য বেপজার সাথে একটি জমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে Logo নদী দূষণের দায়ে গাজীপুরে ৯টি অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন। Logo প্রত্যাহার করা হলো ১০২ জন ভূমি কমিশনার কে Logo অ্যামেচার রেডিও কার্যক্রমকে আরো সংগঠিত করার আহ্বান Logo এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo পার্বত্য তিন জেলায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদযাপিত Logo গণপূর্ত অধিদপ্তরের ০৫ জন প্রকৌশলী ও স্হাপত্য অধিদপ্তরের ০১ জন স্থপতিকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্হলে অনুপস্হিত থাকায় ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হয়েছে Logo ০৫ আগস্ট ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ১২৩টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ চোরাকারবারি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-ওয়ারী

সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ফের উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

oppo_0

ইবি সংবাদদাতা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত হয় এ কর্মসূচি। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে প্রশাসন কর্তৃক আগামী রবিবারের মধ্যে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু কারণ উদ্ঘাটনের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন সমাপ্ত করে শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সাজিদ হত্যার বিচার চাই’, ‘খুনিদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কণ্ঠে আবার লাগাও জোর, প্রশাসনের কবর খোঁড়’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’, ‘আমাদের সংগ্রাম চলছেই চলবে’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের সাজিদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রশাসন যদি যথাসময়ে রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা প্রশাসন ভবনে তালা মেরে দেব, প্রশাসন অচল করে দেব।’
আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি বলেন, ‘উপাচার্য সোমবার বিদেশ থেকে এসেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। আজকে (মঙ্গলবার) আমাকে ডেকেছিলেন, আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তাকে জানিয়েছি। যিনি তদন্ত কমিটির দায়িত্বে যিনি আছেন, তাকে ডেকেছেন।’
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “আমরা তদন্তের কাজে অনেক বেশি অগ্রগতি করতে পেরেছি। আমরা কমিটি গঠনের পর থেকেই কাজ শুরু করেছি। আমরা ১০ কর্মদিবসের মধ্যেই আমাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট জমা দেব। এখনো কিছু তথ্য আমাদের প্রয়োজন। আমাদের রবিবার পর্যন্ত সময় লাগবে। আগামী রবিবার আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে চাই না। আমরা উপাচার্যের কাছে আমাদের রিপোর্ট ব্রিফ করব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “সাজিদের মৃত্যুতে আমিও (উপাচার্য) সমভাবে ব্যথিত। তোমরা আন্দোলনকারীরা যেমন স্লোগান দিচ্ছ— ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, আমিও তোমাদের এই স্লোগানের সঙ্গে একমত। প্রশাসন কোনোভাবেই এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চায় না। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সঠিকভাবে উদ্ঘাটন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করব; প্রয়োজনে পিবিআই অথবা আরও উচ্চতর তদন্ত করা হবে। সাজিদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আমরা অবশ্যই উদ্ঘাটন করব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “তোমরা নিশ্চিত থাকতে পারো— প্রশাসন এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং কোনোভাবেই বিষয়টি এড়িয়ে যাবে না। এই বিষয়টা প্রশাসন কোনোভাবেই ধামাচাপা দিতে চায় না। আমরা কাজ করছি, তোমরা নিশ্চিন্তে থাকো।”
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি উপদেষ্টার সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ফের উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়!

আপডেট সময় ০২:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
ইবি সংবাদদাতা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত হয় এ কর্মসূচি। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরে দুপুর ২টার দিকে প্রশাসন কর্তৃক আগামী রবিবারের মধ্যে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু কারণ উদ্ঘাটনের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন সমাপ্ত করে শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সাজিদ হত্যার বিচার চাই’, ‘খুনিদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কণ্ঠে আবার লাগাও জোর, প্রশাসনের কবর খোঁড়’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’, ‘আমাদের সংগ্রাম চলছেই চলবে’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের সাজিদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রশাসন যদি যথাসময়ে রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা প্রশাসন ভবনে তালা মেরে দেব, প্রশাসন অচল করে দেব।’
আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি বলেন, ‘উপাচার্য সোমবার বিদেশ থেকে এসেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। আজকে (মঙ্গলবার) আমাকে ডেকেছিলেন, আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তাকে জানিয়েছি। যিনি তদন্ত কমিটির দায়িত্বে যিনি আছেন, তাকে ডেকেছেন।’
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “আমরা তদন্তের কাজে অনেক বেশি অগ্রগতি করতে পেরেছি। আমরা কমিটি গঠনের পর থেকেই কাজ শুরু করেছি। আমরা ১০ কর্মদিবসের মধ্যেই আমাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট জমা দেব। এখনো কিছু তথ্য আমাদের প্রয়োজন। আমাদের রবিবার পর্যন্ত সময় লাগবে। আগামী রবিবার আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে চাই না। আমরা উপাচার্যের কাছে আমাদের রিপোর্ট ব্রিফ করব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “সাজিদের মৃত্যুতে আমিও (উপাচার্য) সমভাবে ব্যথিত। তোমরা আন্দোলনকারীরা যেমন স্লোগান দিচ্ছ— ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, আমিও তোমাদের এই স্লোগানের সঙ্গে একমত। প্রশাসন কোনোভাবেই এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চায় না। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সঠিকভাবে উদ্ঘাটন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করব; প্রয়োজনে পিবিআই অথবা আরও উচ্চতর তদন্ত করা হবে। সাজিদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আমরা অবশ্যই উদ্ঘাটন করব।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “তোমরা নিশ্চিত থাকতে পারো— প্রশাসন এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং কোনোভাবেই বিষয়টি এড়িয়ে যাবে না। এই বিষয়টা প্রশাসন কোনোভাবেই ধামাচাপা দিতে চায় না। আমরা কাজ করছি, তোমরা নিশ্চিন্তে থাকো।”