ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকা মহানগর উত্তর ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি Logo অবহেলিত সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের জন্য বিশেষ সরকারি বরাদ্দের জোর দাবি এলাকাবাসীর Logo পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo লেখক-গবেষক,রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এর মৃত্যুতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শোক Logo মধ্যনগরে বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে ইউনিয়ন কাউন্সিল বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল Logo শেরপুর সদর থানা বার্ষিক পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার Logo সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব – ধর্ম উপদেষ্টা Logo গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নাটোর জেলা সফর Logo জুলাই যোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান’- গণপূর্ত উপদেষ্টা

লেখক-গবেষক,রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এর মৃত্যুতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শোক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: লেখক-গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রোববার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বদরুদ্দীন উমরের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
তিনি প্রায় এক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে একাধিকবার। আজ সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বদরুদ্দীন উমর মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন,
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বদরুদ্দীন উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি শুধু একজন লেখক নন, ছিলেন একজন তাত্ত্বিক চিন্তাবিদ, যিনি ষাটের দশকে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নিয়ে গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণমূলক লেখা উপহার দিয়েছেন।
বদরুদ্দীন উমর লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক। ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পিপিই ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীও ছিলেন তিনি। গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতি ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর লেখা ‘পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম গবেষণাগ্রন্থ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা মহানগর উত্তর ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি

লেখক-গবেষক,রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এর মৃত্যুতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শোক

আপডেট সময় ১০:০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আলী আহসান রবি: লেখক-গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রোববার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বদরুদ্দীন উমরের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
তিনি প্রায় এক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে একাধিকবার। আজ সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বদরুদ্দীন উমর মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন,
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বদরুদ্দীন উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি শুধু একজন লেখক নন, ছিলেন একজন তাত্ত্বিক চিন্তাবিদ, যিনি ষাটের দশকে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নিয়ে গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণমূলক লেখা উপহার দিয়েছেন।
বদরুদ্দীন উমর লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক। ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পিপিই ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীও ছিলেন তিনি। গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতি ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর লেখা ‘পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম গবেষণাগ্রন্থ।