
আলী আহসান রবি: লেখক-গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ রোববার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বদরুদ্দীন উমরের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
তিনি প্রায় এক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে একাধিকবার। আজ সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বদরুদ্দীন উমর মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন,
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বদরুদ্দীন উমর একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি শুধু একজন লেখক নন, ছিলেন একজন তাত্ত্বিক চিন্তাবিদ, যিনি ষাটের দশকে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য নিয়ে গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণমূলক লেখা উপহার দিয়েছেন।
বদরুদ্দীন উমর লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক। ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পিপিই ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীও ছিলেন তিনি। গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতি ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর লেখা ‘পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম গবেষণাগ্রন্থ।