ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী Logo সৎও মিষ্টভাষী উপসচিব আবুল হাসান Logo বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে Logo তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo রাজনীতিবিদ শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানার কিছু কথা Logo কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা Logo সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo ময়মনসিংহে ‘ফ্যাক্টস ফর লাইফ’ কর্মশালা

নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে
মোতালেব বিশ্বাস লিখন , ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন তারা।
জানা যায়, সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। পরে প্রধান ফটকে আটকে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, “হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।”
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো। ”
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী

নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবি

আপডেট সময় ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
মোতালেব বিশ্বাস লিখন , ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন তারা।
জানা যায়, সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। পরে প্রধান ফটকে আটকে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, “হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।”
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো। ”