ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo পদ্মা সেতুতে Electronic Toll Collection (ETC) সিস্টেম ব্যবহারের জন্য “বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ” এবং “পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও নগদ” এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর Logo স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২ Logo মেরিটাইম ইন্ড্রাস্টিকে নিরাপদ ও ডিজিটাল করতে বিএসসিএল ও স্টারনুলার মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর Logo শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন——- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo কালো ধোঁয়া ও নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মোবাইল কোর্ট অভিযানে জরিমানা ও সতর্কবার্তা Logo কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে -পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
মোতালেব বিশ্বাস লিখন , ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন তারা।
জানা যায়, সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। পরে প্রধান ফটকে আটকে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, “হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।”
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো। ”
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবি

আপডেট সময় ০৫:২৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
মোতালেব বিশ্বাস লিখন , ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগও করেছেন তারা।
জানা যায়, সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা অভিযোগ তুলে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। পরে প্রধান ফটকে আটকে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ বিষয়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, “হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকিও দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।”
বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো। ”