ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাউফলে পেট্রোলের আগুনে ঝলসে গেল এক মাদ্রাসার শিক্ষকের শরীর Logo তেজগাঁওয়ে বোবা রফিককে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মূল হত্যাকারী সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ Logo সুন্দর জীবন গড়তে হলে মাদক ছাড়তে হবে Logo ১৮ বছরের নিচে প্রতিটি শিশুকে স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠাতে হবে, আরবি শিক্ষার পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষাও দিতে হবে —–উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়; দুর্ধর্ষ চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার Logo স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩১ Logo উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। Logo সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়েছে Logo গরমে যা দেখে বুঝবেন শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে Logo সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়; দুর্ধর্ষ চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার ও ১৫ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করেছে ডিএমপি

দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতির সময় মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজকে (৮) হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত এবং একইসাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মন্ডল ও একই উপজেলার জোয়ার্দ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে বসতবাড়িতে ছানোয়ারা বেগম ও তার ছেলে রাজ ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা ডাকাতি করার জন্য তাদের বসতঘরে প্রবেশ করেন। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে প্রতিবাদ ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। একইভাবে ছানোয়ারা বেগমের ছেলে রাজকেও হত্যা করেন তারা। এরপর আসামিরা ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যান আসামিরা। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী। ওই বাড়িতে ছানোয়ারা ও তার ছেলে রাজ বসবাস করতেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন পারভিনা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের এই শাস্তির আদেশ দেন। বিচারক সোহানী পূশণের আদালতের বেঞ্চ সহকারী অরুপ রায়হান বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাউফলে পেট্রোলের আগুনে ঝলসে গেল এক মাদ্রাসার শিক্ষকের শরীর

দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতির সময় মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

আপডেট সময় ০৬:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বসতবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজকে (৮) হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত এবং একইসাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মন্ডল ও একই উপজেলার জোয়ার্দ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে বসতবাড়িতে ছানোয়ারা বেগম ও তার ছেলে রাজ ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা ডাকাতি করার জন্য তাদের বসতঘরে প্রবেশ করেন। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে প্রতিবাদ ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। একইভাবে ছানোয়ারা বেগমের ছেলে রাজকেও হত্যা করেন তারা। এরপর আসামিরা ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যান আসামিরা। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী। ওই বাড়িতে ছানোয়ারা ও তার ছেলে রাজ বসবাস করতেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন পারভিনা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের এই শাস্তির আদেশ দেন। বিচারক সোহানী পূশণের আদালতের বেঞ্চ সহকারী অরুপ রায়হান বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।