ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাউফলে ১৯ মাস বয়সের এক শিশুর রহস্য জনক মৃত্যু Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা Logo বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন শাখায় কর্তৃক সাধারণ সভা Logo অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও Logo যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা সে দেশকে আর আমরা সফল বলতে পারি না- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না’ Logo প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন Logo ভালুকায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ Logo দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মঙ্গলবার (২৬শে নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। সাংবাদিকতাকে নতুন করে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতা কীভাবে গড়ে উঠবে, এ বিষয়টি বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা নির্ধারণ করবেন। সরকার গণমাধ্যমের যেকোনো ধরনের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের জন্য উপকারী। এর মাধ্যমে সরকার নিজেকে শুধরে নিতে পারে। উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এ কমিশন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দেবে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাঠ পর্যায়ের অনেক সাংবাদিক আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। তবে, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কারণে সবক্ষেত্রে আন্দোলনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচারিত অসত্য তথ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য ও গুজব প্রচারের ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। গণমাধ্যমের অন্যতম দায়িত্ব হলো সত্যকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা। সত্য প্রচারে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই। গত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খবরে কী বলা হবে, সে বিষয়ে মানুষ অনেকটা ধারণা করতে পেরেছিলেন। বিগত সরকার গণমাধ্যমের ওপর নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সে সময় অনেক সাংবাদিক দলীয় কর্মীর মতো কাজ করেছে। এসব কারণে গণমাধ্যমের উপর জনগণের আস্থা অনেক কমে গিয়েছিল। মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পূর্বে আবশ্যিকভাবে সত্যতা যাচাই করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গণমাধ্যমের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মতবিনিময় সভায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সময় এসেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নসহ গণমাধ্যমের উন্নয়নে সরকারের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাউফলে ১৯ মাস বয়সের এক শিশুর রহস্য জনক মৃত্যু

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় ০৪:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মঙ্গলবার (২৬শে নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। সাংবাদিকতাকে নতুন করে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতা কীভাবে গড়ে উঠবে, এ বিষয়টি বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা নির্ধারণ করবেন। সরকার গণমাধ্যমের যেকোনো ধরনের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের জন্য উপকারী। এর মাধ্যমে সরকার নিজেকে শুধরে নিতে পারে। উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এ কমিশন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দেবে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাঠ পর্যায়ের অনেক সাংবাদিক আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। তবে, সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কারণে সবক্ষেত্রে আন্দোলনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচারিত অসত্য তথ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য ও গুজব প্রচারের ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। গণমাধ্যমের অন্যতম দায়িত্ব হলো সত্যকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা। সত্য প্রচারে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই। গত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও খবরে কী বলা হবে, সে বিষয়ে মানুষ অনেকটা ধারণা করতে পেরেছিলেন। বিগত সরকার গণমাধ্যমের ওপর নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সে সময় অনেক সাংবাদিক দলীয় কর্মীর মতো কাজ করেছে। এসব কারণে গণমাধ্যমের উপর জনগণের আস্থা অনেক কমে গিয়েছিল। মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পূর্বে আবশ্যিকভাবে সত্যতা যাচাই করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর গণমাধ্যমের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মতবিনিময় সভায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সময় এসেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নসহ গণমাধ্যমের উন্নয়নে সরকারের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।