ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইবিতে আটকৃত ছাত্রলীগ সহসভাপতিকে আদালতে প্রেরণ Logo ডা. মো. শহিদুল আলম: গরিবের ডাক্তার ও দক্ষিণবঙ্গের গণমানুষের নেতা Logo পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo পিরোজপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট( বালক ও বালিকা) উদ্ধোধন Logo আনসার বাহিনীকে আরো প্রশিক্ষিত করে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সেন্টমার্টিনে ০৩ টি রিসোর্টের আগুন Logo ইন্দুরকানীতে ব্যাপকহারে বেড়েছে চুরি Logo ইন্দুরকানীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বাউফলে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ৬ একর জমির পাকা ধান Logo বাউফলে নিয়োগের পর একদিনও বিদ্যালয়ে না গিয়ে নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন এক সহকারি শিক্ষক

পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানি শূন্যতা হ্রাস ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে আমরা বাঁশ এর ফলন ও এর ব্যবহার বাড়াতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা সেগুন, মেহগনি আকাশি গাছ লাগাতে আর উৎসাহিত করছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি শূন্যতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে FAO-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী (Jiaoqun Shi) ও তার প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপদ্রীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সকলের উপযোগী প্রকল্প গ্রহণের জন্য FAO প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, ন্যাচারাল রিজার্ভ ফরেস্ট এখানে শতাব্দিকাল যাবৎ একইভাবে রয়েছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে FAO গৃহীত প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে টেকসই জীবিকার সংস্থান করতে FAO এর গৃহীতব্য প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা ইকোসিস্টেমে পরিবেশবান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন। উপদেষ্টা বলেন, পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে। কাপ্তাই লেক এর পানি সংরক্ষণ ও এর তীরবর্তী এলাকায় কৃষিজ, ফলজ, বনজ সম্পদ গড়ে তোলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট বাস্তবায়নে উপজেলাগুলোতে কাজু বাদাম, কফি চাষ, ইক্ষু চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পাহাড়ি এলাকায় টেকসই খাদ্য উৎপাদন এবং নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে FAO Representative এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। FAO কর্মকর্তাগণ টেকসই কৃষিজ এবং বনজ সম্পদ উৎপাদনে বিবিধ কর্মসূচির বিষয়ে উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং স্থানীয় জনপদের চাহিদার Artistic পরিবেশ সম্মত খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিষ চাকমা, FAO এর বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী (Jiaoqun Shi), সহকারী কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ ইমানুন নবী খান, ন্যাশনাল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার এমদাদুল হক চৌধুরী এবং ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা এ এ মং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে আটকৃত ছাত্রলীগ সহসভাপতিকে আদালতে প্রেরণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

আপডেট সময় ০৬:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানি শূন্যতা হ্রাস ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে আমরা বাঁশ এর ফলন ও এর ব্যবহার বাড়াতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা সেগুন, মেহগনি আকাশি গাছ লাগাতে আর উৎসাহিত করছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি শূন্যতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে FAO-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী (Jiaoqun Shi) ও তার প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপদ্রীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সকলের উপযোগী প্রকল্প গ্রহণের জন্য FAO প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, ন্যাচারাল রিজার্ভ ফরেস্ট এখানে শতাব্দিকাল যাবৎ একইভাবে রয়েছে। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে FAO গৃহীত প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে টেকসই জীবিকার সংস্থান করতে FAO এর গৃহীতব্য প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা ইকোসিস্টেমে পরিবেশবান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরেন। উপদেষ্টা বলেন, পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে। কাপ্তাই লেক এর পানি সংরক্ষণ ও এর তীরবর্তী এলাকায় কৃষিজ, ফলজ, বনজ সম্পদ গড়ে তোলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট বাস্তবায়নে উপজেলাগুলোতে কাজু বাদাম, কফি চাষ, ইক্ষু চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পাহাড়ি এলাকায় টেকসই খাদ্য উৎপাদন এবং নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে FAO Representative এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। FAO কর্মকর্তাগণ টেকসই কৃষিজ এবং বনজ সম্পদ উৎপাদনে বিবিধ কর্মসূচির বিষয়ে উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং স্থানীয় জনপদের চাহিদার Artistic পরিবেশ সম্মত খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিষ চাকমা, FAO এর বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী (Jiaoqun Shi), সহকারী কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ ইমানুন নবী খান, ন্যাশনাল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার এমদাদুল হক চৌধুরী এবং ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা এ এ মং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।