ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাওরগুলোতে সীমানা চিহ্নিত করে এগুলো জলাধার কেন্দ্রিক প্রাণাদার হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করব।—পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা Logo ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সম্মুখে অবৈধ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করা প্রসঙ্গে Logo ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার আহ্বান Logo কালিগঞ্জ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক Logo কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ইটের পাঁজায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় Logo কালিগঞ্জে বিএনপির আয়োজনে সাতটি কলেজ ছাত্রদলের নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কুমিল্লার মুরাদনগর ও পটুয়াখালীর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয় Logo বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগে গ্রহণ করা হবে, প্রাথমিকভাবে নেয়া হবে ধুলা কমানোর উদ্যোগ।– পরিবেশ উপদেষ্টা Logo ০১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ হতে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, পারমিট অনলাইনে ইস্যু করা বাধ্যতামূলক

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৫

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) মোঃ সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক, ই বেংগল (তৎকালীন ইউনিট ১৮ ই বেংগল)
ক্যাপ্টেন মোঃ সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক, ই বেংগল, গত ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৭ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৫ম স্বল্প মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৮ ই বেংগল ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ তারিখ সকালে তৎকালীন নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের, টিও হেডম্যান পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুপ্তাশ্রয়ের উপর একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। দুর্গম অরণ্যে দুই দিন ও দুই রাতের যাত্রাপথে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান সঠিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত প্রদানের মাধ্যমে সৈনিকদের মনোবল বজায় রাখেন। লক্ষ্যবস্তুর নিকটে পৌঁছে তিনি দুরদর্শিতার সাথে তড়িৎ পরিকল্পনা করে সন্ত্রাসীদের উপর আচমকা হানা পরিচালনা করেন।
লক্ষ্যবস্তুর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন উপদলকে চতুর্দিকে বিভিন্ন অবস্থানে রাখা হয়। অপারেশন চলাকালে ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান একটি মাচার ঘরে কিছু অস্ত্র দেখতে পান। কোন প্রকার কালক্ষেপণ না করে, তিনি নায়েক মোস্তফাকে পেছন থেকে কাভার করার নির্দেশ দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে অসীম সাহসিকতার সাথে লক্ষ্যবস্তুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনাবাহিনীর হানাদলের তড়িৎ পদক্ষেপে হতবিহ্বল হয়ে সন্ত্রাসী দল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসী দলের নিকটে উপস্থিত উপদলের, নায়েক মোস্তফা ও ল্যান্স নায়েক খলিলের সংকেতে ক্যাপ্টেন সাইদুর দ্রুততার সাথে অবস্থান পরিবর্তন করে মাটিতে অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী দলের তথাকথিত কর্পোরাল রূপায়ন নিহত হয়, এবং তথাকথিত লেফটেন্যান্ট পুশকিন ও সিপাহি নিবারন আটক হয়। অপারেশনে ১টি ৯ মিঃ মিঃ এসএমসি, ৬টি ৩০৩ রাইফেল, ১টি অটো রাইফেল, এবং সন্ত্রাসীদের গোলাবারুদ, সরঞ্জাম ও মূল্যবান নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে, ১৯ মে ১৯৯২ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ক্যাপ্টেন মোঃ সাইদুর রহমানকে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরগুলোতে সীমানা চিহ্নিত করে এগুলো জলাধার কেন্দ্রিক প্রাণাদার হিসেবে আমরা প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করব।—পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৫

আপডেট সময় ১২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) মোঃ সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক, ই বেংগল (তৎকালীন ইউনিট ১৮ ই বেংগল)
ক্যাপ্টেন মোঃ সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক, ই বেংগল, গত ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৭ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৫ম স্বল্প মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৮ ই বেংগল ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ তারিখ সকালে তৎকালীন নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের, টিও হেডম্যান পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুপ্তাশ্রয়ের উপর একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন। দুর্গম অরণ্যে দুই দিন ও দুই রাতের যাত্রাপথে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান সঠিক নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত প্রদানের মাধ্যমে সৈনিকদের মনোবল বজায় রাখেন। লক্ষ্যবস্তুর নিকটে পৌঁছে তিনি দুরদর্শিতার সাথে তড়িৎ পরিকল্পনা করে সন্ত্রাসীদের উপর আচমকা হানা পরিচালনা করেন।
লক্ষ্যবস্তুর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন উপদলকে চতুর্দিকে বিভিন্ন অবস্থানে রাখা হয়। অপারেশন চলাকালে ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান একটি মাচার ঘরে কিছু অস্ত্র দেখতে পান। কোন প্রকার কালক্ষেপণ না করে, তিনি নায়েক মোস্তফাকে পেছন থেকে কাভার করার নির্দেশ দিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে অসীম সাহসিকতার সাথে লক্ষ্যবস্তুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনাবাহিনীর হানাদলের তড়িৎ পদক্ষেপে হতবিহ্বল হয়ে সন্ত্রাসী দল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসী দলের নিকটে উপস্থিত উপদলের, নায়েক মোস্তফা ও ল্যান্স নায়েক খলিলের সংকেতে ক্যাপ্টেন সাইদুর দ্রুততার সাথে অবস্থান পরিবর্তন করে মাটিতে অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী দলের তথাকথিত কর্পোরাল রূপায়ন নিহত হয়, এবং তথাকথিত লেফটেন্যান্ট পুশকিন ও সিপাহি নিবারন আটক হয়। অপারেশনে ১টি ৯ মিঃ মিঃ এসএমসি, ৬টি ৩০৩ রাইফেল, ১টি অটো রাইফেল, এবং সন্ত্রাসীদের গোলাবারুদ, সরঞ্জাম ও মূল্যবান নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে, ১৯ মে ১৯৯২ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ক্যাপ্টেন মোঃ সাইদুর রহমানকে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।