ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনায় ২২ নেতাকর্মী গ্রেফতার Logo রূপনগর থানা পুলিশের অভিযানে শয়তানের নিশ্বাস ব্যবহারকারী তানিয়া গ্রেফতার Logo স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অভিনন্দন জানালো সাতক্ষীরাবাসী Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৫ জন গ্রেফতার Logo চকবাজারে চোরাচালান কসমেটিকসের গোপন গুদাম উন্মোচন, গ্রেপ্তার ১ Logo শ্রম অধিকার সুরক্ষা: আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশে মতবিনিময় সভা Logo কৃষিভূমি সুরক্ষা এখন সময়ের একান্ত দাবী: ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার Logo সাতক্ষীরা-৩: ডাঃ শহিদুল আলমের নমিনেশনের দাবিতে নজিরবিহীন মহিলা সমাবেশ ও বিক্ষোভ Logo ১৩ নভেম্বরের তথাকথিত কর্মসূচি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই: ডিএমপি কমিশনার Logo ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ গড়মিল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬১১ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে পিরোজপুর ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দিনভর এ অভিযানে প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখ টাকার ওষুধের হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। এছাড়া সুযোগ–সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার জন্য পাঠাতে দালালদের দৌরাত্ব, অনেক বেশি।হাসপাতালের রান্নাঘরে অনিয়ম, রোগীদের খাবারে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় রোগী ভাগিয়ে নেওয়া তথা পাওয়া যায়।দালালির দায়ে দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা   তারা দুজনেই স্থানীয় শেফা ডায়গনস্টিক ক্লিনিকের কর্মী।
অভিযান শেষে দুদকের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, অভিযানকালে দেখা যায় শিশু বিভাগের রেজিস্টারে ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। তেমনি স্টোররুমে (গুদাম) অভিযান চালানোর সময় কাগজে–কলমে ঠিকাদার কর্তৃক সকল ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ওষুধের হদিস পাওয়া যায়নি। এ সময় স্টোরকিপার আল আমিন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাউথ বাংলা কর্পোরেশান ঠিকমত ওষুধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়ে সমপরিমাণ অর্থের তিনটি তারিখবিহীন চেক সিভিল সার্জন বরাবরে জমা দিয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন আরও জানান, ওষুধ, খাবারের মান ও টেন্ডারের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের শুরুতেই দুদক টিম হাসপাতালে প্রবেশকালে ভেতর থেকে দুই দালালকে আটক করে। পরে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতের  মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ মাহামুদ জানান, আটক দুজনের সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়ায় ১৮৬০/১৮৮ ধারায় প্রত্যেককে ১৫ দিনের জেল ও ১০০ টাকা করে জরিমানা করে জেল হাতে পাঠান তিনি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনায় ২২ নেতাকর্মী গ্রেফতার

পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পৌনে দুই কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ গড়মিল

আপডেট সময় ০৫:০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে পিরোজপুর ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দিনভর এ অভিযানে প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখ টাকার ওষুধের হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। এছাড়া সুযোগ–সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার জন্য পাঠাতে দালালদের দৌরাত্ব, অনেক বেশি।হাসপাতালের রান্নাঘরে অনিয়ম, রোগীদের খাবারে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় রোগী ভাগিয়ে নেওয়া তথা পাওয়া যায়।দালালির দায়ে দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা   তারা দুজনেই স্থানীয় শেফা ডায়গনস্টিক ক্লিনিকের কর্মী।
অভিযান শেষে দুদকের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, অভিযানকালে দেখা যায় শিশু বিভাগের রেজিস্টারে ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হয়নি। তেমনি স্টোররুমে (গুদাম) অভিযান চালানোর সময় কাগজে–কলমে ঠিকাদার কর্তৃক সকল ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ওষুধের হদিস পাওয়া যায়নি। এ সময় স্টোরকিপার আল আমিন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাউথ বাংলা কর্পোরেশান ঠিকমত ওষুধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়ে সমপরিমাণ অর্থের তিনটি তারিখবিহীন চেক সিভিল সার্জন বরাবরে জমা দিয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন আরও জানান, ওষুধ, খাবারের মান ও টেন্ডারের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে কমিশনে পাঠানো হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের শুরুতেই দুদক টিম হাসপাতালে প্রবেশকালে ভেতর থেকে দুই দালালকে আটক করে। পরে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতের  মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ মাহামুদ জানান, আটক দুজনের সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়ায় ১৮৬০/১৮৮ ধারায় প্রত্যেককে ১৫ দিনের জেল ও ১০০ টাকা করে জরিমানা করে জেল হাতে পাঠান তিনি।