
ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোন নিরাপত্তা হুমকি নেই। পহেলা বৈশাখ আনন্দঘন, উৎসবমুখর ও নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে মহানগরীকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল ২০২৫খ্রি.) সকাল ১১:০০ ঘটিকায় রাজধানী রমনার বটমূলে বর্ষবরণ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা সহ অন্যান্য সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানসমূহকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পেশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থল সমূহ ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ গেটে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ও শোভাযাত্রার রুট সমূহ সিসি ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠান স্থলের চারপাশে ও শোভাযাত্রার রুটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পিকেট, ফুট পেট্রোল ও লাইনিং ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের উপর থেকে মনিটরিং করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হবে এবং রুফটপে ফোর্স মোতায়েন থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে হকার প্রবেশ করে যাতে অনাকাঙ্খিত কোন পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য বিশেষ টিম কাজ করবে। ইভটিজিং, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে সাদা পোষাকে পুলিশদল মোতায়েন থাকবে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও সাইবার পেট্রোলিংসহ নববর্ষ কেন্দ্রিক অপপ্রচার রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো অপতৎপরতা মনিটরিং করা হবে।
সম্মানিত নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশী কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে কোনো প্রকার মুখোশ, ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে আসা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে এবং অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হবে। কোন ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না এবং শব্দ দূষণ হয় এরকম কোন বাঁশি ব্যবহার করা যাবে না। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যাতে পহেলা বৈশাখ নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে তার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন ডিএমপি কমিশনার।
এর আগে রমনা বটমূলে ডিএমপির সিটিটিসির সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও কে-নাইন টিম উদ্ভুত জরুরী পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তার একটি মহড়া প্রদর্শন করে।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ সরওয়ার, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।