ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo কালিগঞ্জে যুক্তরাজ্য যুবদল নেতা নাসিরকে সংবর্ধনা ও বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমন তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি Logo ২৪ ঘন্টায় ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিসহ সাতজন গ্রেফতার Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান বাণিজ্য উপদেষ্টার Logo ঈদ-উল আজহায় পশুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাউফলে আইন শৃংখলা বাহিনীর মতবিনিময় Logo সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাস বিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন Logo বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (METI) প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক Logo পুঁজিবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা Logo ২৯ তম জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতা- ২০২৫ এর পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮) ২। শাকিল (২১) ৩। মামুন (৪০) ৪। মোঃ রাব্বি (২৬) ৫। মোঃ আসাদ মিয়া (৪৫) ৬। মোঃ পলাশ শেখ (৩৭) ও ৭। আনোয়ার হেসেন (৪৪)।
শনিবার (১০ মে ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকা ও তৎপরবর্তী সময়ে আভিযানিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে একটি বিদেশী পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ডিবি বেশ কিছুদিন যাবত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের বিপক্ষে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বনশ্রীর শ্যুটিংসহ ডাকাতি ঘটনায় স্বর্ণালংকার উদ্ধার,উক্ত ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার, সীমান্ত সম্ভারের ক্রাউন জুয়েলার্সের চুরির ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার, ডেমরার ফারদিন জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও মালামাল উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেফতার এবং শিল্পী জুয়েলার্সের ডাকাতি ঘটনায় সম্পৃক্তদের গ্রেফতারপূর্বক মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিগত জানুয়ারি ২০২৫ হতে অদ্যাবধি ডিবি কর্তৃক ডাকাত চক্রের মোট ৮৭ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ঢাকা মহানগর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডাকাতি বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় ডিবি যাদের মূল লক্ষ্য স্বর্ণের দোকান ডাকাতি করা। এক্ষেত্রে ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটনের পূর্বে তারা রেকি করে এবং ডাকাতি কাজে অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবহার করে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে আসে। ফলে সমগ্র বাংলাদেশের এধরনের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গতিবিধির উপর ডিবির গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা নজরদারি হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার আনোয়ার হোসেন এবং বরিশাল জেলার পলাশের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল কোনো একটি স্বর্ণের দোকান ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি আভিযানিক দল গতকাল শনিবার (১০ মে ২০২৫ খ্রি.) রাত অনুমান ০১:৩০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি ৭.৬২ এমএম বিদেশী পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলিসহ মাসুদ রানা চৌকিদারকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে, মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় ব্যবহারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত ৩৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো ইতোমধ্যে বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট কর্তৃক নিষ্ক্রিয় করত আদালতে উপস্থাপনের জন্য ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ডাকাতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য সহযোগীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান হতে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে একত্রিত হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বৌলতলী বাজারের নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতি সংঘটিত করবে। অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি ধৃত মাসুদ চৌকিদারসহ দনিয়া কলেজের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার দিকে একটি প্রাইভেট কার ও একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস যোগে ডাকাত দলের সদস্যরা উপস্থিত হয়। আভিযানিক দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে শাকিল, মামুন, মোঃ রাব্বি, মোঃ আসাদ মিয়া নামের চারজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করে । পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ডাকাতি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ পলাশ শেখ এবং আনোয়ার হেসেন ধোলাইপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ৭ (সাত) জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

আপডেট সময় ০৮:০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮) ২। শাকিল (২১) ৩। মামুন (৪০) ৪। মোঃ রাব্বি (২৬) ৫। মোঃ আসাদ মিয়া (৪৫) ৬। মোঃ পলাশ শেখ (৩৭) ও ৭। আনোয়ার হেসেন (৪৪)।
শনিবার (১০ মে ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকা ও তৎপরবর্তী সময়ে আভিযানিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে একটি বিদেশী পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ডিবি বেশ কিছুদিন যাবত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের বিপক্ষে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বনশ্রীর শ্যুটিংসহ ডাকাতি ঘটনায় স্বর্ণালংকার উদ্ধার,উক্ত ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার, সীমান্ত সম্ভারের ক্রাউন জুয়েলার্সের চুরির ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার, ডেমরার ফারদিন জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও মালামাল উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেফতার এবং শিল্পী জুয়েলার্সের ডাকাতি ঘটনায় সম্পৃক্তদের গ্রেফতারপূর্বক মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিগত জানুয়ারি ২০২৫ হতে অদ্যাবধি ডিবি কর্তৃক ডাকাত চক্রের মোট ৮৭ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ঢাকা মহানগর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডাকাতি বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় ডিবি যাদের মূল লক্ষ্য স্বর্ণের দোকান ডাকাতি করা। এক্ষেত্রে ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটনের পূর্বে তারা রেকি করে এবং ডাকাতি কাজে অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবহার করে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে আসে। ফলে সমগ্র বাংলাদেশের এধরনের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গতিবিধির উপর ডিবির গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা নজরদারি হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার আনোয়ার হোসেন এবং বরিশাল জেলার পলাশের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল কোনো একটি স্বর্ণের দোকান ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি আভিযানিক দল গতকাল শনিবার (১০ মে ২০২৫ খ্রি.) রাত অনুমান ০১:৩০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি ৭.৬২ এমএম বিদেশী পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলিসহ মাসুদ রানা চৌকিদারকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে, মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় ব্যবহারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত ৩৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো ইতোমধ্যে বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট কর্তৃক নিষ্ক্রিয় করত আদালতে উপস্থাপনের জন্য ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ডাকাতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য সহযোগীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান হতে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে একত্রিত হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বৌলতলী বাজারের নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতি সংঘটিত করবে। অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি ধৃত মাসুদ চৌকিদারসহ দনিয়া কলেজের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার দিকে একটি প্রাইভেট কার ও একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস যোগে ডাকাত দলের সদস্যরা উপস্থিত হয়। আভিযানিক দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে শাকিল, মামুন, মোঃ রাব্বি, মোঃ আসাদ মিয়া নামের চারজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করে । পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ডাকাতি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ পলাশ শেখ এবং আনোয়ার হেসেন ধোলাইপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ৭ (সাত) জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।