ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি Logo গোপালগঞ্জের সহিংসতা সম্পর্কে পুলিশ রিপোর্ট Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ময়মনসিংহের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন Logo শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে জাতীয় বৃক্ষমেলায় ‘গাছ চেনা প্রতিযোগিতা ২০২৫ Logo গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতির উপরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য : জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান Logo গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়নি

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নামে পেইজ খুলে অভিনব প্রতারণা; ডিবি কর্তৃক প্রতারক চক্রের আট সদস্য গ্রেফতার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর অনলাইন শপ’, ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’, ‘চাঁদপুর ইলিশ ঘাট’ ইত্যাদি নামে পেইজ খুলে অনলাইনে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অভিনব কৌশলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি অনলাইন প্রতারক চক্র। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি অবৈধ সিমসহ উক্ত প্রতারক চক্রের আট সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। আনাছ শেখ (২১) ২। কামাল শেখ (২১) ৩। ইয়ানুর মোল্লা (২১) ৪। জোবায়ের হোসেন (২৩) ৫। রুবেল শেখ (২৯) ৬। সাগর হোসেন (২৩) ৭। মোঃ আলীনূর ইসলাম (১৮) ও ৮।শরিফুল ইসলাম (২১)।

সোমবার ও মঙ্গলবার (২৬ ও ২৭ মে ২০২৫ খ্রি.) খুলনা, নড়াইল ও যশোরে বিশেষ ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এসময় তাদের হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম জব্দ করা হয়।

ডিবি-সাইবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. জনৈক মোঃ মাসুম বিল্লাহ ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’নামক ফেসবুক পেইজে সুলভ মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে ইলিশ অর্ডার দেন এবং তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত অর্ডারের প্রেক্ষিতে তিনি কোনো ইলিশ পাননি। এ ঘটনায় মোঃ মাসুম বিল্লাহের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

মামলাটি পরবর্তীতে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তাধীন এই মামলায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে ডিবি। পরবর্তীতে সোমবার ও মঙ্গলবার খুলনা, নড়াইল ও যশোরে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের উক্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি-সাইবার সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন শপের ছবি ব্যবহার করে পেইজ খুলে চাঁদপুরের তাজা ইলিশ সুলভ মূল্যে সরবরাহের বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিলো। তারা ইলিশ সরবরাহের অর্ডার নিয়ে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করতো। টাকা নেওয়ার পর তারা গ্রাহকদের ইলিশ মাছ বুঝিয়ে দিতো না এবং কোন যোগাযোগ রাখতো না। চক্রটির মূলহোতা আনাছ শেখ ও শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি সংগ্রহ করে মোবাইল কোম্পানি, বিকাশ ও নগদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় ভুয়া সিম ও অ্যাকাউন্ট খুলে এই অভিনব প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এই অভিনব প্রতারণার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের প্রতারণার শিকার অসংখ্য ভুক্তভোগী ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ করেছেন, যার অনেকগুলো ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগে তদন্তাধীন রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রটির সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে ডিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য এবং অপরিচিত পেইজ থেকে কেনাকাটার প্রেক্ষিতে অগ্রিম টাকা প্রদানের আগে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই করার জন্য সম্মানিত নগরবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নামে পেইজ খুলে অভিনব প্রতারণা; ডিবি কর্তৃক প্রতারক চক্রের আট সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৯:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

নিউজ ডেস্ক: ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর অনলাইন শপ’, ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’, ‘চাঁদপুর ইলিশ ঘাট’ ইত্যাদি নামে পেইজ খুলে অনলাইনে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অভিনব কৌশলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি অনলাইন প্রতারক চক্র। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি অবৈধ সিমসহ উক্ত প্রতারক চক্রের আট সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। আনাছ শেখ (২১) ২। কামাল শেখ (২১) ৩। ইয়ানুর মোল্লা (২১) ৪। জোবায়ের হোসেন (২৩) ৫। রুবেল শেখ (২৯) ৬। সাগর হোসেন (২৩) ৭। মোঃ আলীনূর ইসলাম (১৮) ও ৮।শরিফুল ইসলাম (২১)।

সোমবার ও মঙ্গলবার (২৬ ও ২৭ মে ২০২৫ খ্রি.) খুলনা, নড়াইল ও যশোরে বিশেষ ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এসময় তাদের হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল ফোন ও ৭০টি ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম জব্দ করা হয়।

ডিবি-সাইবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. জনৈক মোঃ মাসুম বিল্লাহ ‘চাঁদপুর ইলিশ বাজার’নামক ফেসবুক পেইজে সুলভ মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে ইলিশ অর্ডার দেন এবং তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত অর্ডারের প্রেক্ষিতে তিনি কোনো ইলিশ পাননি। এ ঘটনায় মোঃ মাসুম বিল্লাহের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

মামলাটি পরবর্তীতে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তাধীন এই মামলায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে ডিবি। পরবর্তীতে সোমবার ও মঙ্গলবার খুলনা, নড়াইল ও যশোরে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের উক্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি-সাইবার সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন শপের ছবি ব্যবহার করে পেইজ খুলে চাঁদপুরের তাজা ইলিশ সুলভ মূল্যে সরবরাহের বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিলো। তারা ইলিশ সরবরাহের অর্ডার নিয়ে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করতো। টাকা নেওয়ার পর তারা গ্রাহকদের ইলিশ মাছ বুঝিয়ে দিতো না এবং কোন যোগাযোগ রাখতো না। চক্রটির মূলহোতা আনাছ শেখ ও শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি সংগ্রহ করে মোবাইল কোম্পানি, বিকাশ ও নগদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় ভুয়া সিম ও অ্যাকাউন্ট খুলে এই অভিনব প্রতারণা চালিয়ে আসছিলো। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এই অভিনব প্রতারণার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের প্রতারণার শিকার অসংখ্য ভুক্তভোগী ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ করেছেন, যার অনেকগুলো ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগে তদন্তাধীন রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রটির সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে ডিবির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য এবং অপরিচিত পেইজ থেকে কেনাকাটার প্রেক্ষিতে অগ্রিম টাকা প্রদানের আগে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ভালোভাবে যাচাই করার জন্য সম্মানিত নগরবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।