ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা Logo তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি Logo গোপালগঞ্জের সহিংসতা সম্পর্কে পুলিশ রিপোর্ট Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ময়মনসিংহের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন Logo শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে জাতীয় বৃক্ষমেলায় ‘গাছ চেনা প্রতিযোগিতা ২০২৫ Logo গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতির উপরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য : জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৫, তরুণ উদ্যোক্তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে সময়োপযোগী নীতি, সহজে পুঁজি প্রাপ্তির সুযোগ এবং একটি উদ্ভাবন-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি-আজ (১৭ আগস্ট ২০২৫) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘তরুণ উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও পরিবেশ ব্যবস্থা শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এই বার্তা দেন। অনুষ্ঠানটি বিডার মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রজন্মের উত্থান প্রত্যক্ষ করছি, যারা আর কারও অনুমতির অপেক্ষা করছে না-তারা উদ্দেশ্য ও উদ্দীপনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে আমাদেরও অঙ্গীকার থাকতে হবে-যুবদের পথে থাকা বাধাগুলো দূর করতে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সরঞ্জাম তাদের হাতে তুলে দিতে।”, যেখানে তিনি সরকারের তরুণ-কেন্দ্রিক সংস্কার কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তাইয়েব বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা অপেক্ষা করছে না-তারা গড়ছে বিস্তৃত করছে সমাধান বের করছে। আসল প্রশ্ন হলো, আমাদের ব্যবস্থাগুলো কি তাদের এই তাড়না ও সৃজনশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে? আমরা যদি লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করি, আমি বিশ্বাস করি আমরা পারব।”, যেখানে তিনি ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা তরুণদের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সহায়ক।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “স্থানীয় উদ্যোক্তারা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাদের বিকাশে স্মার্ট নীতি, সহজে পুঁজির প্রবেশাধিকার এবং একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতেই হবে।”

ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ (ভারপ্রাপ্ত) সোনালি দয়ারত্নে বলেন, “বাংলাদেশের পরবর্তী উদ্ভাবনী তরঙ্গ তরুণদের হাত ধরেই আসবে-শর্ত একটাই তাদের পথের প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনই দূর করতে হবে।”

লাইটক্যাসেল পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল আমিন তাঁর মূল প্রবন্ধে তরুণদের জন্য বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন এবং নীতি ও বাস্তব উদ্যোক্তা চাহিদার মাঝে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের আহ্বান জানান।

এছাড়াও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মেহরুনা ইসলাম চৌধুরী, কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ওয়াইস পাররায়, এবং বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি। তাঁরা সকলেই তরুণদের সরাসরি সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে নীতিনির্ধারণে বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়।

সারাদেশ থেকে আগত ৬০ জনেরও বেশি তরুণ উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও অংশীদার এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেন এবং একসঙ্গে সমাধানের পথ খোঁজেন-নতুন উদ্যোক্তা জগতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে।

দিনের শেষে অংশগ্রহণকারীরা একমত হন-তরুণদের কেন্দ্রস্থানে রেখে বিডা, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা হবে সময়োপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যতগামী।

এই অনুষ্ঠানটি যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ট্রান্সফরমেটিভ ইকোনমিক পলিসি প্রোগ্রাম (TEPP) ফেজ ২ এর আওতায় বিডা ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ কর্তৃক যৌথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি

আপডেট সময় ১২:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ১৭ জুলাই ২০২৫, তরুণ উদ্যোক্তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে সময়োপযোগী নীতি, সহজে পুঁজি প্রাপ্তির সুযোগ এবং একটি উদ্ভাবন-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি-আজ (১৭ আগস্ট ২০২৫) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘তরুণ উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ, নীতি ও পরিবেশ ব্যবস্থা শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এই বার্তা দেন। অনুষ্ঠানটি বিডার মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক প্রজন্মের উত্থান প্রত্যক্ষ করছি, যারা আর কারও অনুমতির অপেক্ষা করছে না-তারা উদ্দেশ্য ও উদ্দীপনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে আমাদেরও অঙ্গীকার থাকতে হবে-যুবদের পথে থাকা বাধাগুলো দূর করতে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সরঞ্জাম তাদের হাতে তুলে দিতে।”, যেখানে তিনি সরকারের তরুণ-কেন্দ্রিক সংস্কার কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তাইয়েব বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণরা অপেক্ষা করছে না-তারা গড়ছে বিস্তৃত করছে সমাধান বের করছে। আসল প্রশ্ন হলো, আমাদের ব্যবস্থাগুলো কি তাদের এই তাড়না ও সৃজনশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে? আমরা যদি লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করি, আমি বিশ্বাস করি আমরা পারব।”, যেখানে তিনি ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা তরুণদের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সহায়ক।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “স্থানীয় উদ্যোক্তারা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাদের বিকাশে স্মার্ট নীতি, সহজে পুঁজির প্রবেশাধিকার এবং একটি সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতেই হবে।”

ইউএনডিপি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ (ভারপ্রাপ্ত) সোনালি দয়ারত্নে বলেন, “বাংলাদেশের পরবর্তী উদ্ভাবনী তরঙ্গ তরুণদের হাত ধরেই আসবে-শর্ত একটাই তাদের পথের প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনই দূর করতে হবে।”

লাইটক্যাসেল পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল আমিন তাঁর মূল প্রবন্ধে তরুণদের জন্য বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন এবং নীতি ও বাস্তব উদ্যোক্তা চাহিদার মাঝে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের আহ্বান জানান।

এছাড়াও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মেহরুনা ইসলাম চৌধুরী, কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ওয়াইস পাররায়, এবং বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি। তাঁরা সকলেই তরুণদের সরাসরি সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে নীতিনির্ধারণে বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়।

সারাদেশ থেকে আগত ৬০ জনেরও বেশি তরুণ উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও অংশীদার এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করেন এবং একসঙ্গে সমাধানের পথ খোঁজেন-নতুন উদ্যোক্তা জগতে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে।

দিনের শেষে অংশগ্রহণকারীরা একমত হন-তরুণদের কেন্দ্রস্থানে রেখে বিডা, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা হবে সময়োপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যতগামী।

এই অনুষ্ঠানটি যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ট্রান্সফরমেটিভ ইকোনমিক পলিসি প্রোগ্রাম (TEPP) ফেজ ২ এর আওতায় বিডা ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ কর্তৃক যৌথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।