
মো: খলিলুর রহমান. বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. ফাহিম বয়াতী (১৯) হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সহপাঠী ও এলাকাবাসি। শনিবার সকাল ১০ টায় নিহত ফাহিমের বিদ্যাপীঠ নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এক ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন নিহত ফাহিমের মা মোছা. রেকসোনা বেগম, ভাই আবু নাঈম , সহপাঠী বন্ধু মো. মনির, মাওলানা মো. আল আমিন, আবুল গাজী, মো. হান্নান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আসামিরা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আগামি ৭২ ঘন্টার মধ্যে চিহ্নিত দুই খুনিকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায়, কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন সহপাঠীরা। পরে তাঁরা কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরের হাট এলাকায় গিয়ে শেষ করে।
পূর্ব বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে দশমিনা উপজেলার বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়নের ধলুফকির বাজার এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম বয়াতিকে (১৮) কুপিয়ে হত্যা ও তাঁর বাবা জাকির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। জাকির হোসেন বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফাহিম বাউফল উপজেলার ভাংরা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেনের ছেলে ও নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফাহিম ছিলেন সবার বড়।
ফাহিম হত্যাকান্ড ও তাঁর বাবা জাকির হোসেনকে জখমের ঘটনায় গত বুধবার রাতে ফাহিমের মা রেকসোনা বেগম তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে দশমিনা থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন শাকিল মীর (২০), সোহাগ (২৪), সানু মীর (৪৫)। তাঁদের মধ্যে সানুকে ঘটনার সময় পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আসামিরা সবাই বাউফল উপজেলার ভাংরা গ্রামের বাসিন্দা।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, মামলায় তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। একজন আসামি গ্রেপ্তার আছে। অন্য দুই আসামি শাকিল ও সোহাগকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি আশা করেন খুব কম সময়ের মধ্যে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।