
আলী আহসান রবি: ১৫ জুলাই ২০২৫, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলাবদ্ধতা, দুষণ ও জনদুর্ভোগ কমাতে দেশের খালগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় রংপুর জেলার রংপুর সদর উপজেলাধীন শ্যামাসুন্দরী খাল পুনঃখনন, দুষণ রোধ ও বনায়ন কাজ” শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি শ্যামাসুন্দরী খালের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “শ্যামাসুন্দরীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনতেই হবে। পানির স্বাভাবিক গতি রক্ষা না করে শহরকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। খাল মানেই শুধু পানি নয়, এটি একটি জীবন্ত প্রতিবেশ। এটি রক্ষা করতে না পারলে জলাবদ্ধতা, দুষণ ও জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।”
তিনি জানান, খালের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৬৮টি বর্জ্য নিষ্কাশন পয়েন্টে ছাকনি বসানো হবে। সেনাবাহিনী স্থাপনার মধ্য দিয়ে খালের প্রবাহ থাকায় তাদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। খালের স্বাভাবিক প্রবাহে যেসব বাধা রয়েছে তা দ্রুত অপসারণ করা হবে।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শ্যামাসুন্দরী খালের জন্য একটি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের নির্দেশ দেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নগরবাসীকে খাল রক্ষায় সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: এনায়েত উল্লাহ, রংপুর পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী মো: মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, বন সংরক্ষক মো: সুবেদার ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক নুর আলম, কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা নদীর তীরে চলমান তীর রক্ষা বাঁধ, গতিয়াসাম ক্লিনিক সংলগ্ন বাঁধ এবং রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা রেলসেতুর উজানে ডান তীর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনগণের সাথেও মতবিনিময় করেন।