
আলী আহসান রবি: ২৮ জুলাই, ২০২৫, শিক্ষকগণ জাতি গঠনের মূল কারিগর এবং তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সম্প্রতি, ১২৪/২০২২ নং সিভিল রিভিউ পিটিশন এ সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে ১০ম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর ধারাবাহিকতায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারাদেশে ৬৫,৫০২ (পঁয়ষট্টি হাজার পাঁচশত দুই) জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি প্রদান করেছে।
এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাঁদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। সরকারের এই পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবকগণ ও সকল স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন-এটি সরকারের প্রত্যাশা।