ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অতিরিক্ত মজুত নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শন করেন DC আশরাফুল আলম খান। Logo বর্তমান সময়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo কোনভাবেই উত্তরবঙ্গ আর অবহেলিত থাকবে না- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংস্থার চলমান প্রকল্পসমূহের পর্যালোচনা সভায় ভূমি সচিব প্রকল্প কাজ নিয়মিত তদারকি, সমন্বয় সাধন ও নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে Logo কেরানীগঞ্জে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু” Logo কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী Logo সৎও মিষ্টভাষী উপসচিব আবুল হাসান Logo বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে Logo তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরী-সুপ্রদীপ চাকমা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, কাপ্তাই লেক হচ্ছে দেশের অন্যতম একটি মৎস্য ভান্ডার। কাপ্তাই লেকের সাথে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তবে কাপ্তাই লেকে পলি যেভাবে বাড়ছে এতে করে লেকের গভীরতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং,পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য আমি যথাসাধ্য কাজ করে যাবো। আজ রবিবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলার কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারগণের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ ছিল এই কাপ্তাই বাঁধ। আবার এ কাপ্তাই হ্রদ থেকেই আয় হচ্ছে এখন চার হাজার কোটি টাকা। উপদেষ্টা বলেন এই আয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং- এর মাটি দিয়ে ড্যাম তৈরি করে বহুমুখী আয়বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে। এখানে লাখো মানুষের আয়ের সংস্থান হবে। উপদেষ্টা বলেন, পানি প্রবাহ কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না। মাছের উৎপাদন ও মানুষের জীবন ও জীবিকা বাড়াতে পানি বাড়াতে হবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সকলে মিলে কাজ করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা প্রাণপণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সদ্ভাব ব্যবহার বজায় রাখতে আমরা চাই। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. রুহুল আমিন, অতিরিকরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আকতার, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের,পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোকবিকাশ চাকমা, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: হারুনুর রশীদ প্রমুখ। সভার শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে আলাদা আলাদা প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো: আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অতিরিক্ত মজুত নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শন করেন DC আশরাফুল আলম খান।

কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরী-সুপ্রদীপ চাকমা

আপডেট সময় ০৩:১৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, কাপ্তাই লেক হচ্ছে দেশের অন্যতম একটি মৎস্য ভান্ডার। কাপ্তাই লেকের সাথে এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তবে কাপ্তাই লেকে পলি যেভাবে বাড়ছে এতে করে লেকের গভীরতা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই লেকের ড্রেজিং,পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য আমি যথাসাধ্য কাজ করে যাবো। আজ রবিবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলার কাপ্তাই লেকের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারগণের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে এই এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ ছিল এই কাপ্তাই বাঁধ। আবার এ কাপ্তাই হ্রদ থেকেই আয় হচ্ছে এখন চার হাজার কোটি টাকা। উপদেষ্টা বলেন এই আয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব। কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং- এর মাটি দিয়ে ড্যাম তৈরি করে বহুমুখী আয়বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে। এখানে লাখো মানুষের আয়ের সংস্থান হবে। উপদেষ্টা বলেন, পানি প্রবাহ কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না। মাছের উৎপাদন ও মানুষের জীবন ও জীবিকা বাড়াতে পানি বাড়াতে হবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সকলে মিলে কাজ করতে হবে। দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা প্রাণপণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সদ্ভাব ব্যবহার বজায় রাখতে আমরা চাই। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. রুহুল আমিন, অতিরিকরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়দা আকতার, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের,পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোকবিকাশ চাকমা, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: হারুনুর রশীদ প্রমুখ। সভার শুরুতে কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে আলাদা আলাদা প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো: আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।