ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মধ্যনগরে উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর কল্যাণ সভা এবং অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পদক্ষেপে বাংলাদেশ-ব্রাজিল ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের সতর্ক, সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে – তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা মহানগর উত্তর ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি Logo অবহেলিত সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের জন্য বিশেষ সরকারি বরাদ্দের জোর দাবি এলাকাবাসীর Logo পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo লেখক-গবেষক,রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর এর মৃত্যুতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের শোক

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৩

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে
মেজর (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি (তৎকালীন ইউনিট ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি)
মেজর মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি গত ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৯ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১ম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে গত ০৩ ডিসেম্বর ১৯৯০ তারিখে গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, সাধারণ এলাকা মেরুং পাড়ার পশ্চিমে সন্ত্রাসীদের আঞ্চলিক পরিচালক ও অস্ত্রসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ এ দলটি উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
সংবাদ প্রাপ্তির পর জোন অধিনায়ক তাৎক্ষণিক অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। মেজর মোজাম্মেল কে অপারেশন দলের অধিনায়ক মনোনীত করে মোট ৩ জন অফিসার সহ একটি এ টাইপ দল গঠন করেন। দলটিকে তিনটি ‘সি’ টাইপ দলে আন্তঃবিভক্ত করা হয় এবং একটির দায়িত্বে থাকেন মেজর মোজাম্মেল হোসেন। অপর ২টি ‘সি’ টাইপের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন আহমেদ ও লেঃ এজাজ। টহলের তিনটি উপদল প্রায় ২ ঘণ্টা পথ চলার পর টার্গেট এলাকার কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। টার্গেট টি ছিল নালার পাড়ে পাহাড়ের ঢালুতে জংগলাকীর্ণ এলাকায় সুকৌশলে বিন্যাস্ত একটি ঘর। ঘরটি ঘেরাও সম্পূর্ণ হলে মেজর মোজাম্মেল অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মাত্র দুজন সৈনিক নিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদলের প্রহরীর প্রায় ৪/৫ গজের মধ্যে এসে পড়েন। তন্দ্রাজড়িত প্রহরী তড়িঘড়ি করে এসএমসি তুলে গুলি করার চেষ্টা করলে মেজর মোজাম্মেল প্রহরীকে গুলি করেন। তাৎক্ষনিক ভাবেই শুরু হয় দুজন সৈনিক ও মেজর মোজাম্মেল এর সাথে সন্ত্রাসীদের ৪/৫ মিনিটের অনবরত ফায়ার। ঘটনাস্থলে ৩জন সন্ত্রাসী মৃত্যুবরণ করে এবং ২জন আহত হয়।
পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর ১৯৯১ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মেজর মোজাম্মেল হোসেন’কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যনগরে উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৩

আপডেট সময় ০৪:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
মেজর (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি (তৎকালীন ইউনিট ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি)
মেজর মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি গত ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৯ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১ম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে গত ০৩ ডিসেম্বর ১৯৯০ তারিখে গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, সাধারণ এলাকা মেরুং পাড়ার পশ্চিমে সন্ত্রাসীদের আঞ্চলিক পরিচালক ও অস্ত্রসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ এ দলটি উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
সংবাদ প্রাপ্তির পর জোন অধিনায়ক তাৎক্ষণিক অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। মেজর মোজাম্মেল কে অপারেশন দলের অধিনায়ক মনোনীত করে মোট ৩ জন অফিসার সহ একটি এ টাইপ দল গঠন করেন। দলটিকে তিনটি ‘সি’ টাইপ দলে আন্তঃবিভক্ত করা হয় এবং একটির দায়িত্বে থাকেন মেজর মোজাম্মেল হোসেন। অপর ২টি ‘সি’ টাইপের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন আহমেদ ও লেঃ এজাজ। টহলের তিনটি উপদল প্রায় ২ ঘণ্টা পথ চলার পর টার্গেট এলাকার কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। টার্গেট টি ছিল নালার পাড়ে পাহাড়ের ঢালুতে জংগলাকীর্ণ এলাকায় সুকৌশলে বিন্যাস্ত একটি ঘর। ঘরটি ঘেরাও সম্পূর্ণ হলে মেজর মোজাম্মেল অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মাত্র দুজন সৈনিক নিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদলের প্রহরীর প্রায় ৪/৫ গজের মধ্যে এসে পড়েন। তন্দ্রাজড়িত প্রহরী তড়িঘড়ি করে এসএমসি তুলে গুলি করার চেষ্টা করলে মেজর মোজাম্মেল প্রহরীকে গুলি করেন। তাৎক্ষনিক ভাবেই শুরু হয় দুজন সৈনিক ও মেজর মোজাম্মেল এর সাথে সন্ত্রাসীদের ৪/৫ মিনিটের অনবরত ফায়ার। ঘটনাস্থলে ৩জন সন্ত্রাসী মৃত্যুবরণ করে এবং ২জন আহত হয়।
পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর ১৯৯১ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মেজর মোজাম্মেল হোসেন’কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।