ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও Logo স্বর্ণের দাম আরও কমলো Logo প্রধান উপদেষ্টা, দেশের প্রধান বিচারপতি ও সেনা প্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে Logo বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন Logo চট্টগ্রামে হচ্ছে বিএসটিআইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি- শিল্প উপদেষ্টা Logo আমাদের রিক্সাওয়ালা ভাইয়েরা, লাইসেন্সিং সিস্টেমে চলে আসলে তাদেরকে আর কেও অবৈধ বলতে পারবে না- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সাথে শুল্ক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বর্ণাঢ্য আয়োজন Logo তথ্য কমিশনের সচিব হাওলাদার মো. রকিবুল বারীর মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৩

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৮৫ বার পড়া হয়েছে
মেজর (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি (তৎকালীন ইউনিট ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি)
মেজর মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি গত ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৯ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১ম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে গত ০৩ ডিসেম্বর ১৯৯০ তারিখে গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, সাধারণ এলাকা মেরুং পাড়ার পশ্চিমে সন্ত্রাসীদের আঞ্চলিক পরিচালক ও অস্ত্রসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ এ দলটি উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
সংবাদ প্রাপ্তির পর জোন অধিনায়ক তাৎক্ষণিক অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। মেজর মোজাম্মেল কে অপারেশন দলের অধিনায়ক মনোনীত করে মোট ৩ জন অফিসার সহ একটি এ টাইপ দল গঠন করেন। দলটিকে তিনটি ‘সি’ টাইপ দলে আন্তঃবিভক্ত করা হয় এবং একটির দায়িত্বে থাকেন মেজর মোজাম্মেল হোসেন। অপর ২টি ‘সি’ টাইপের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন আহমেদ ও লেঃ এজাজ। টহলের তিনটি উপদল প্রায় ২ ঘণ্টা পথ চলার পর টার্গেট এলাকার কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। টার্গেট টি ছিল নালার পাড়ে পাহাড়ের ঢালুতে জংগলাকীর্ণ এলাকায় সুকৌশলে বিন্যাস্ত একটি ঘর। ঘরটি ঘেরাও সম্পূর্ণ হলে মেজর মোজাম্মেল অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মাত্র দুজন সৈনিক নিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদলের প্রহরীর প্রায় ৪/৫ গজের মধ্যে এসে পড়েন। তন্দ্রাজড়িত প্রহরী তড়িঘড়ি করে এসএমসি তুলে গুলি করার চেষ্টা করলে মেজর মোজাম্মেল প্রহরীকে গুলি করেন। তাৎক্ষনিক ভাবেই শুরু হয় দুজন সৈনিক ও মেজর মোজাম্মেল এর সাথে সন্ত্রাসীদের ৪/৫ মিনিটের অনবরত ফায়ার। ঘটনাস্থলে ৩জন সন্ত্রাসী মৃত্যুবরণ করে এবং ২জন আহত হয়।
পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর ১৯৯১ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মেজর মোজাম্মেল হোসেন’কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৩

আপডেট সময় ০৪:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
মেজর (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি (তৎকালীন ইউনিট ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি)
মেজর মোজাম্মেল হোসেন, বীর প্রতীক, আর্টিলারি গত ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৯ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১ম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে গত ০৩ ডিসেম্বর ১৯৯০ তারিখে গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, সাধারণ এলাকা মেরুং পাড়ার পশ্চিমে সন্ত্রাসীদের আঞ্চলিক পরিচালক ও অস্ত্রসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ এ দলটি উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
সংবাদ প্রাপ্তির পর জোন অধিনায়ক তাৎক্ষণিক অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। মেজর মোজাম্মেল কে অপারেশন দলের অধিনায়ক মনোনীত করে মোট ৩ জন অফিসার সহ একটি এ টাইপ দল গঠন করেন। দলটিকে তিনটি ‘সি’ টাইপ দলে আন্তঃবিভক্ত করা হয় এবং একটির দায়িত্বে থাকেন মেজর মোজাম্মেল হোসেন। অপর ২টি ‘সি’ টাইপের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন আহমেদ ও লেঃ এজাজ। টহলের তিনটি উপদল প্রায় ২ ঘণ্টা পথ চলার পর টার্গেট এলাকার কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। টার্গেট টি ছিল নালার পাড়ে পাহাড়ের ঢালুতে জংগলাকীর্ণ এলাকায় সুকৌশলে বিন্যাস্ত একটি ঘর। ঘরটি ঘেরাও সম্পূর্ণ হলে মেজর মোজাম্মেল অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে মাত্র দুজন সৈনিক নিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদলের প্রহরীর প্রায় ৪/৫ গজের মধ্যে এসে পড়েন। তন্দ্রাজড়িত প্রহরী তড়িঘড়ি করে এসএমসি তুলে গুলি করার চেষ্টা করলে মেজর মোজাম্মেল প্রহরীকে গুলি করেন। তাৎক্ষনিক ভাবেই শুরু হয় দুজন সৈনিক ও মেজর মোজাম্মেল এর সাথে সন্ত্রাসীদের ৪/৫ মিনিটের অনবরত ফায়ার। ঘটনাস্থলে ৩জন সন্ত্রাসী মৃত্যুবরণ করে এবং ২জন আহত হয়।
পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর ১৯৯১ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মেজর মোজাম্মেল হোসেন’কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।