ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জের ঝুরঝরিয়া খালটি উন্মুক্তের দাবীতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা Logo রাজধানীর ধোলাইপাড়ে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তিন সদস্য গ্রেফতার Logo ভারতীয় গণমাধ্যম Northeast News-এর মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া Logo দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo মধ্যরাতে ছুটে এলেন সারজিস, বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ Logo নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ ছুটিপুর বিওপির উদ্বোধন Logo জর্ডানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা Logo মহিষখলা কোরবানির হাটে বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমজমাট Logo বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক : দুই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট-এর পরিস্থিতি বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ১ জুন ২০২৫ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, “শুধু রাস্তা, ফ্লাইওভার বা বিদ্যুৎই জীবনের মূল চাহিদা হতে পারে না। যদি বাতাস ও পানি দূষিত হয়, তবে বিদ্যুৎ দিয়ে সবকিছু ঠিক রাখা সম্ভব নয়। ফুসফুসে ক্যান্সার হয় এমন বাতাসে বিদ্যুৎ দিয়ে কী করবেন? বাতাস পরিশোধনের জন্য পর্যাপ্ত গাছ না থাকলে রাস্তা দিয়ে কী হবে?”

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ‘পরিবেশ বিষয়ক সংস্কার ভাবনা: বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ অন্তর্ভুক্ত করা, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে পরিবেশ ভাবনা সংযুক্ত করা এবং পরিবেশ শিক্ষা ও সচেতনতাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমরা পরিবেশ রক্ষা না করে উন্নয়ন করতে পারি না। পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই উন্নয়ন করতে হবে। ”

পরিবেশ অধিদপ্তরের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্প তৈরিতে সময় লাগে—সেখানে আউটসোর্সিং জরুরি। বাজেট সংকট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা সরকারের অন্যতম সর্বনিম্ন বাজেট পাওয়া মন্ত্রণালয়। এই বাজেটে মনিটরিং, এনফোর্সমেন্ট, রিস্টোরেশন—সব সম্ভব নয়। প্রকৃতি ধ্বংস হলে পুনরুদ্ধারে বেশি বিনিয়োগ লাগে।”

ইটভাটা বন্ধ, হাতি-মানব দ্বন্দ্ব মোকাবিলা, সিসিটিভি স্থাপনসহ নানা কার্যক্রমে বাজেট ঘাটতির কথা তুলে ধরে তিনি শূন্য পদ পূরণ ও জমি সংক্রান্ত আইন সংস্কারের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, “রাতেও পাহারা ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং চালুর জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এনফোর্সমেন্টকে শক্তিশালী করতে হবে।”

পরিবেশ ছাড়পত্র ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “যার কোনো ছাড়পত্র নেই, সে কীভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে? বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিলে আমাদের লিগ্যাল টিম কিছুই করতে পারে না—এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, এনডিসি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. খন্দকার রাশেদুল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, ওয়েস্ট কনসার্ন-এর নির্বাহী পরিচালক আবু হাসনাত মো. মাকসুদ সিনহা, বাপা সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার ও বেলা’র ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর বারিস চৌধুরী।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবেশগত ছাড়পত্র) মাসুদ ইকবাল মোঃ শামীম।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কালিগঞ্জের ঝুরঝরিয়া খালটি উন্মুক্তের দাবীতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় ১০:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ১ জুন ২০২৫ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, “শুধু রাস্তা, ফ্লাইওভার বা বিদ্যুৎই জীবনের মূল চাহিদা হতে পারে না। যদি বাতাস ও পানি দূষিত হয়, তবে বিদ্যুৎ দিয়ে সবকিছু ঠিক রাখা সম্ভব নয়। ফুসফুসে ক্যান্সার হয় এমন বাতাসে বিদ্যুৎ দিয়ে কী করবেন? বাতাস পরিশোধনের জন্য পর্যাপ্ত গাছ না থাকলে রাস্তা দিয়ে কী হবে?”

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ‘পরিবেশ বিষয়ক সংস্কার ভাবনা: বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ অন্তর্ভুক্ত করা, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে পরিবেশ ভাবনা সংযুক্ত করা এবং পরিবেশ শিক্ষা ও সচেতনতাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমরা পরিবেশ রক্ষা না করে উন্নয়ন করতে পারি না। পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই উন্নয়ন করতে হবে। ”

পরিবেশ অধিদপ্তরের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্প তৈরিতে সময় লাগে—সেখানে আউটসোর্সিং জরুরি। বাজেট সংকট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা সরকারের অন্যতম সর্বনিম্ন বাজেট পাওয়া মন্ত্রণালয়। এই বাজেটে মনিটরিং, এনফোর্সমেন্ট, রিস্টোরেশন—সব সম্ভব নয়। প্রকৃতি ধ্বংস হলে পুনরুদ্ধারে বেশি বিনিয়োগ লাগে।”

ইটভাটা বন্ধ, হাতি-মানব দ্বন্দ্ব মোকাবিলা, সিসিটিভি স্থাপনসহ নানা কার্যক্রমে বাজেট ঘাটতির কথা তুলে ধরে তিনি শূন্য পদ পূরণ ও জমি সংক্রান্ত আইন সংস্কারের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, “রাতেও পাহারা ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং চালুর জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এনফোর্সমেন্টকে শক্তিশালী করতে হবে।”

পরিবেশ ছাড়পত্র ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “যার কোনো ছাড়পত্র নেই, সে কীভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে? বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিলে আমাদের লিগ্যাল টিম কিছুই করতে পারে না—এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, এনডিসি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. খন্দকার রাশেদুল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, ওয়েস্ট কনসার্ন-এর নির্বাহী পরিচালক আবু হাসনাত মো. মাকসুদ সিনহা, বাপা সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার ও বেলা’র ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর বারিস চৌধুরী।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবেশগত ছাড়পত্র) মাসুদ ইকবাল মোঃ শামীম।