ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা Logo বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন শাখায় কর্তৃক সাধারণ সভা Logo অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও Logo যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা সে দেশকে আর আমরা সফল বলতে পারি না- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না’ Logo প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন Logo ভালুকায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ Logo দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার Logo পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার 

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৮

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৮

আপডেট সময় ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।