ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার Logo পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার  Logo মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়, এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় Logo জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্তের প্রত্যাশা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে- প্রধান উপদেষ্টা Logo ইবিতে ৩রা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন  Logo দেশব্যাপী আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo রাজশাহীতে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার – ১ Logo পিরোজপুরে কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চান মাঝি গ্রেফতার Logo বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন Logo তুরস্কের মহিলা ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাক্ষাৎ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৮

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৮

আপডেট সময় ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।