ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও Logo স্বর্ণের দাম আরও কমলো Logo প্রধান উপদেষ্টা, দেশের প্রধান বিচারপতি ও সেনা প্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে Logo বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন Logo চট্টগ্রামে হচ্ছে বিএসটিআইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি- শিল্প উপদেষ্টা Logo আমাদের রিক্সাওয়ালা ভাইয়েরা, লাইসেন্সিং সিস্টেমে চলে আসলে তাদেরকে আর কেও অবৈধ বলতে পারবে না- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সাথে শুল্ক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বর্ণাঢ্য আয়োজন Logo তথ্য কমিশনের সচিব হাওলাদার মো. রকিবুল বারীর মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৮

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৭১ বার পড়া হয়েছে
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৮

আপডেট সময় ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১২ ইস্ট বেংগল)
নম্বর ৩৯৮০৫৮১ শহীদ ল্যান্স নায়েক মোঃ আবেদ আলী, বীর বিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২ ইস্ট বেঙ্গল (দি স্ট্রাইকিং টুয়েলভ) এর সাথে ১৯৮৮ সালে জুরাছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ তারিখে সকাল ১০১৫ ঘটিকায় জুরাছড়ি জোনের অন্তর্গত মদইন্যাপাড়া ক্যাম্প হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে মেজর শহীদ আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বের হয়। অত্যন্ত সাহসী সেনাসদস্য হিসেবে সুপরিচিত ল্যান্স নায়েক আবেদ টহল দলের এক নম্বর স্কাউটের ভূমিকা পালন করছিলেন।
দুর্গম পাহাড়ে ঘন অরণ্যে টহল চলাকালীন আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় টহল দল শান্তি বাহিনীর অ্যামবুশে পতিত হয়। শান্তি বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিবর্ষণে ল্যান্স নায়েক আবেদ গুরুতর আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি বীরদর্পে শান্তি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে তাঁর এসএমজি থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকেন। প্রায় ১৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর শান্তি বাহিনীর গ্রেনেডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মর্মান্তিকভাবে আহত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শান্তি বাহিনীকে প্রাণপণে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাঁর অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করে।