ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রথযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের প্রতিফলন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সুনামগঞ্জে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা Logo ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ Logo দেশে কাগজের চাহিদা পূরণ করতে কর্ণফুলীসহ পেপার মিলের উন্নয়ন করা হবে’ – শিল্প উপদেষ্টা Logo যাত্রাবাড়ীতে ৪,০০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo বাউফলে শতাধিক অসহায় চক্ষু রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo ওয়াকফ মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৃথক বেঞ্চ গঠিত Logo সেই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন Logo বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়—-উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান Logo ২৮ জন সড়ক পথে ইরান থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা করে পাকিস্তান সীমান্তে পৌঁছেছেন

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-৩০

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ জুলাই ১৯৮৯ তারিখে পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে অধিনায়কের নিরাপত্তা এসকর্ট এর গাড়ির চালকের দায়িত্বে ছিলেন। গাড়িটি দুপুর ১৩২৮ ঘটিকায় মনিগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে শান্তিবাহিনী সন্ত্রাসীদের এ্যাম্বুশে পতিত হয়।
শান্তিবাহিনীর এলএমজি’র প্রথম বার্স্টে গাড়ির দ্বিতীয় আসনে থাকা হাবিলদার মফিজ উদ্দিন সঙ্গে সঙ্গে শাহাদত বরণ করেন। ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশার নিজেও বুকে, হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায়ও তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে ০৮ জন সৈনিক, অস্ত্র ও গাড়ি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান।
তিনি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে গাড়ি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য গতিমাত্রা বাড়িয়ে দেন এবং গাড়িটি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন। তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি দুর্বল হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদত বরণ করেন।
ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশারের অসীম সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও আত্মত্যাগের ফলে ০৮ জন সৈনিকের জীবন, মূল্যবান অস্ত্র ও সরকারি সম্পদ রক্ষা পায়। তাঁর এই অনন্য সাহসিকতার জন্য তাঁকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রথযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের প্রতিফলন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-৩০

আপডেট সময় ০৭:২৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ জুলাই ১৯৮৯ তারিখে পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে অধিনায়কের নিরাপত্তা এসকর্ট এর গাড়ির চালকের দায়িত্বে ছিলেন। গাড়িটি দুপুর ১৩২৮ ঘটিকায় মনিগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে শান্তিবাহিনী সন্ত্রাসীদের এ্যাম্বুশে পতিত হয়।
শান্তিবাহিনীর এলএমজি’র প্রথম বার্স্টে গাড়ির দ্বিতীয় আসনে থাকা হাবিলদার মফিজ উদ্দিন সঙ্গে সঙ্গে শাহাদত বরণ করেন। ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশার নিজেও বুকে, হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায়ও তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে ০৮ জন সৈনিক, অস্ত্র ও গাড়ি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান।
তিনি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে গাড়ি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য গতিমাত্রা বাড়িয়ে দেন এবং গাড়িটি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন। তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি দুর্বল হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদত বরণ করেন।
ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশারের অসীম সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও আত্মত্যাগের ফলে ০৮ জন সৈনিকের জীবন, মূল্যবান অস্ত্র ও সরকারি সম্পদ রক্ষা পায়। তাঁর এই অনন্য সাহসিকতার জন্য তাঁকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।