ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা Logo তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি Logo গোপালগঞ্জের সহিংসতা সম্পর্কে পুলিশ রিপোর্ট Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ময়মনসিংহের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন Logo শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে জাতীয় বৃক্ষমেলায় ‘গাছ চেনা প্রতিযোগিতা ২০২৫ Logo গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতির উপরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য : জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-৩০

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৭৬ বার পড়া হয়েছে

ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ জুলাই ১৯৮৯ তারিখে পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে অধিনায়কের নিরাপত্তা এসকর্ট এর গাড়ির চালকের দায়িত্বে ছিলেন। গাড়িটি দুপুর ১৩২৮ ঘটিকায় মনিগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে শান্তিবাহিনী সন্ত্রাসীদের এ্যাম্বুশে পতিত হয়।
শান্তিবাহিনীর এলএমজি’র প্রথম বার্স্টে গাড়ির দ্বিতীয় আসনে থাকা হাবিলদার মফিজ উদ্দিন সঙ্গে সঙ্গে শাহাদত বরণ করেন। ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশার নিজেও বুকে, হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায়ও তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে ০৮ জন সৈনিক, অস্ত্র ও গাড়ি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান।
তিনি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে গাড়ি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য গতিমাত্রা বাড়িয়ে দেন এবং গাড়িটি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন। তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি দুর্বল হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদত বরণ করেন।
ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশারের অসীম সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও আত্মত্যাগের ফলে ০৮ জন সৈনিকের জীবন, মূল্যবান অস্ত্র ও সরকারি সম্পদ রক্ষা পায়। তাঁর এই অনন্য সাহসিকতার জন্য তাঁকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-৩০

আপডেট সময় ০৭:২৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল ল্যান্স নায়েক মোঃ কাজী আবুল বাশার, বীর প্রতীক, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন ৪৩ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ জুলাই ১৯৮৯ তারিখে পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে অধিনায়কের নিরাপত্তা এসকর্ট এর গাড়ির চালকের দায়িত্বে ছিলেন। গাড়িটি দুপুর ১৩২৮ ঘটিকায় মনিগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে শান্তিবাহিনী সন্ত্রাসীদের এ্যাম্বুশে পতিত হয়।
শান্তিবাহিনীর এলএমজি’র প্রথম বার্স্টে গাড়ির দ্বিতীয় আসনে থাকা হাবিলদার মফিজ উদ্দিন সঙ্গে সঙ্গে শাহাদত বরণ করেন। ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশার নিজেও বুকে, হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায়ও তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে ০৮ জন সৈনিক, অস্ত্র ও গাড়ি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালান।
তিনি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে গাড়ি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য গতিমাত্রা বাড়িয়ে দেন এবং গাড়িটি এ্যাম্বুশ এলাকা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন। তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি দুর্বল হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, যার ফলে গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই তিনি শাহাদত বরণ করেন।
ল্যান্স নায়েক কাজী আবুল বাশারের অসীম সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও আত্মত্যাগের ফলে ০৮ জন সৈনিকের জীবন, মূল্যবান অস্ত্র ও সরকারি সম্পদ রক্ষা পায়। তাঁর এই অনন্য সাহসিকতার জন্য তাঁকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।