ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যায় মেয়ে-জামাতাসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ Logo কেন্দুয়ায় অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ অভিযান, জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস Logo সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত Logo কালিগঞ্জে দলকে সংগঠিত করে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে— আলহাজ্ব ডাঃ শহিদুল আলম Logo ‘স্কিল গ্যাপ’ গোছাতে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (IFT) প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বুয়েটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় কমিশনের অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক পরিচালক মিশেল শটার(Michael Shotter) এর সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত Logo পলিথিন, বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জরিমানা ও জব্দ Logo উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ এর ২ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত Logo পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিমের সভাপতির পিরোজপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৭৬ বার পড়া হয়েছে
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম, ১৯৭৯ সালে লংগদু জোনে কর্মরত ছিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ তারিখে তাঁর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কাদেরের নিকট গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে যে, লংগদু থানার রাঙাপানিছড়া গ্রামে শান্তি বাহিনীর ৪–৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিগত এক সপ্তাহ ধরে জেলে নৌকা থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। বিষয়টি বিভিন্ন উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কাদের দ্রুততার সাথে একটি টহল দল নিয়ে অভিযানে রওনা হন।
লক্ষ্যবস্তুর নিকটবর্তী হলে পাহাড়ের ওপর একটি ঘরে কিছু ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সেনা টহল দল কাছাকাছি পৌঁছলে ঘর থেকে একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বেরিয়ে এসে গুলি বর্ষণ করে। পাল্টা গুলিবর্ষণের ফলে তারা পাহাড়ের অপর প্রান্তে ঢালুতে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। সেনাসদস্যরা দ্রুততার সাথে ওই ঘরটি তল্লাশি করে দুইজন সন্ত্রাসীকে আটক করেন এবং একটি স্টেন গান, গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদিসহ আদায়কৃত ৩২,৪৩৮ টাকা উদ্ধার করেন।
পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী আশপাশের ঝোপঝাড়ে তল্লাশি চালানোর সময় সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী এক সন্ত্রাসীকে দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে সকলকে সতর্ক করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, আরেকজন সন্ত্রাসী লেফটেন্যান্ট কাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে সিপাহী আইয়ুব আলী নিজের জীবন বাজি রেখে সেই সন্ত্রাসীর দিকে দৌড়ে যান এবং তাকে প্রতিহত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুর্ভাগ্যবশত, সন্ত্রাসীর গুলিতে তাঁর বুক বিদ্ধ হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।
সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সহকর্মীদের জীবন রক্ষায় যে অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর অনন্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যায় মেয়ে-জামাতাসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২

আপডেট সময় ০৭:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম, ১৯৭৯ সালে লংগদু জোনে কর্মরত ছিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ তারিখে তাঁর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কাদেরের নিকট গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে যে, লংগদু থানার রাঙাপানিছড়া গ্রামে শান্তি বাহিনীর ৪–৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিগত এক সপ্তাহ ধরে জেলে নৌকা থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। বিষয়টি বিভিন্ন উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কাদের দ্রুততার সাথে একটি টহল দল নিয়ে অভিযানে রওনা হন।
লক্ষ্যবস্তুর নিকটবর্তী হলে পাহাড়ের ওপর একটি ঘরে কিছু ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সেনা টহল দল কাছাকাছি পৌঁছলে ঘর থেকে একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বেরিয়ে এসে গুলি বর্ষণ করে। পাল্টা গুলিবর্ষণের ফলে তারা পাহাড়ের অপর প্রান্তে ঢালুতে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। সেনাসদস্যরা দ্রুততার সাথে ওই ঘরটি তল্লাশি করে দুইজন সন্ত্রাসীকে আটক করেন এবং একটি স্টেন গান, গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদিসহ আদায়কৃত ৩২,৪৩৮ টাকা উদ্ধার করেন।
পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী আশপাশের ঝোপঝাড়ে তল্লাশি চালানোর সময় সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী এক সন্ত্রাসীকে দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে সকলকে সতর্ক করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, আরেকজন সন্ত্রাসী লেফটেন্যান্ট কাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে সিপাহী আইয়ুব আলী নিজের জীবন বাজি রেখে সেই সন্ত্রাসীর দিকে দৌড়ে যান এবং তাকে প্রতিহত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুর্ভাগ্যবশত, সন্ত্রাসীর গুলিতে তাঁর বুক বিদ্ধ হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।
সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সহকর্মীদের জীবন রক্ষায় যে অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর অনন্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করেন।