ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শাকিল ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে সরকারের ব্যাখ্যা Logo জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রুপরেখা তৈরি হবে—-আহবায়ক নাহিদ ইসলাম Logo নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত Logo ইমপ্লিমেন্টেশন অব এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমস (ইআইএস) পাইলট’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo বরাদ্দকৃত সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ (বারো) টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল Logo পানি আইন ২০১৩ এর আওতায় হাওরে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই সুরক্ষা আদেশ চূড়ান্ত করা হবে—- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লি. ও জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৫২ টাকার চেক হস্তান্তর Logo পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী।- মন্ত্রিপরিষদ সচিব Logo বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহিষখলা পশুর হাটে গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম, ১৯৭৯ সালে লংগদু জোনে কর্মরত ছিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ তারিখে তাঁর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কাদেরের নিকট গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে যে, লংগদু থানার রাঙাপানিছড়া গ্রামে শান্তি বাহিনীর ৪–৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিগত এক সপ্তাহ ধরে জেলে নৌকা থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। বিষয়টি বিভিন্ন উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কাদের দ্রুততার সাথে একটি টহল দল নিয়ে অভিযানে রওনা হন।
লক্ষ্যবস্তুর নিকটবর্তী হলে পাহাড়ের ওপর একটি ঘরে কিছু ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সেনা টহল দল কাছাকাছি পৌঁছলে ঘর থেকে একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বেরিয়ে এসে গুলি বর্ষণ করে। পাল্টা গুলিবর্ষণের ফলে তারা পাহাড়ের অপর প্রান্তে ঢালুতে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। সেনাসদস্যরা দ্রুততার সাথে ওই ঘরটি তল্লাশি করে দুইজন সন্ত্রাসীকে আটক করেন এবং একটি স্টেন গান, গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদিসহ আদায়কৃত ৩২,৪৩৮ টাকা উদ্ধার করেন।
পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী আশপাশের ঝোপঝাড়ে তল্লাশি চালানোর সময় সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী এক সন্ত্রাসীকে দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে সকলকে সতর্ক করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, আরেকজন সন্ত্রাসী লেফটেন্যান্ট কাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে সিপাহী আইয়ুব আলী নিজের জীবন বাজি রেখে সেই সন্ত্রাসীর দিকে দৌড়ে যান এবং তাকে প্রতিহত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুর্ভাগ্যবশত, সন্ত্রাসীর গুলিতে তাঁর বুক বিদ্ধ হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।
সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সহকর্মীদের জীবন রক্ষায় যে অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর অনন্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শাকিল ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে সরকারের ব্যাখ্যা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২

আপডেট সময় ০৭:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম
শহীদ সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী, বীর বিক্রম, ১৯৭৯ সালে লংগদু জোনে কর্মরত ছিলেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ তারিখে তাঁর ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কাদেরের নিকট গোয়েন্দা সূত্রে খবর আসে যে, লংগদু থানার রাঙাপানিছড়া গ্রামে শান্তি বাহিনীর ৪–৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিগত এক সপ্তাহ ধরে জেলে নৌকা থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। বিষয়টি বিভিন্ন উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কাদের দ্রুততার সাথে একটি টহল দল নিয়ে অভিযানে রওনা হন।
লক্ষ্যবস্তুর নিকটবর্তী হলে পাহাড়ের ওপর একটি ঘরে কিছু ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সেনা টহল দল কাছাকাছি পৌঁছলে ঘর থেকে একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বেরিয়ে এসে গুলি বর্ষণ করে। পাল্টা গুলিবর্ষণের ফলে তারা পাহাড়ের অপর প্রান্তে ঢালুতে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। সেনাসদস্যরা দ্রুততার সাথে ওই ঘরটি তল্লাশি করে দুইজন সন্ত্রাসীকে আটক করেন এবং একটি স্টেন গান, গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদিসহ আদায়কৃত ৩২,৪৩৮ টাকা উদ্ধার করেন।
পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী আশপাশের ঝোপঝাড়ে তল্লাশি চালানোর সময় সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী এক সন্ত্রাসীকে দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে সকলকে সতর্ক করেন। তিনি লক্ষ্য করেন, আরেকজন সন্ত্রাসী লেফটেন্যান্ট কাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে সিপাহী আইয়ুব আলী নিজের জীবন বাজি রেখে সেই সন্ত্রাসীর দিকে দৌড়ে যান এবং তাকে প্রতিহত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুর্ভাগ্যবশত, সন্ত্রাসীর গুলিতে তাঁর বুক বিদ্ধ হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।
সিপাহী মোঃ আইয়ুব আলী নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে সহকর্মীদের জীবন রক্ষায় যে অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর অনন্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করেন।