
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর নবী তালুকদার তার বিরুদ্ধে আনিত অনাস্থা প্রস্তাব এবং মানববন্ধনের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছেন। বুধবার (৭ মে) দুপুরে রুপনগর বাজারে তার অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর নবী তালুকদার বলেন, “আমি সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছি এবং আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি সততা ও নিষ্ঠার সাথে। তবে, সম্প্রতি আমার পরিষদের কিছু সদস্য অর্থ ও ক্ষমতার লোভে পড়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তারা ৪ মে তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৭ সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন এবং একই দিনে মহিষখলা বাজারে মানববন্ধন করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনার পর, অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী কিছু সদস্য স্বাক্ষর না করার কথা জানিয়েছেন এবং লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন যে, তাদের ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে কিছু ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ।”
চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার আরো জানান, “অভিযোগকারী সদস্যদের মধ্যে কিছু লোক নিয়মিত আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং চক্রটির ভয়ে তারা প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ একটিও সত্য নয়। সব অভিযোগ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক।”
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমি ইউনিয়ন পরিষদের সমস্ত কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছি। অভিযোগকারীরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মুজিবুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য হোসনে আরা, পারুল আক্তার, রাশিদা খাতুনসহ এলাকার শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ৪ মে, বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূর নবী তালুকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ৭ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। একই দিন বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে মহিষখলা বাজারে মানববন্ধনও করা হয়। তবে, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মুজিবুর রহমান তার স্বাক্ষরকারী বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন যে, তিনি কোনো অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেননি