
হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরিয়া খাল উন্মুক্ত করার দাবিতে রহমতপুর, মানপুর ও সোতা গ্রামের শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে তারা খাল দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা।বিক্ষোভকারীদের দাবি, আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগে খালটির উপর বসানো নেটপাটা সরিয়ে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে এবং জনস্বার্থে খালটি উন্মুক্ত করতে হবে। তারা অভিযোগ করেন, ব্যক্তি স্বার্থে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে খালটি দখল করে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, যার ফলে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা ও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটি সোতা ও রহমতপুর মৌজার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। অথচ মানপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মাদ আলীর ছেলে শেখ বদরুল আলম মিঠু, শেখ ছবিলার রহমান, যুবদল নেতা শেখ সালাউদ্দীন (ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি) এবং সৈয়েদ আলী সরদারের ছেলে জুলফিকার রহমান সরদারসহ ৯-১০ জন ব্যক্তি নিজেদের নামে খালের জমি রেকর্ড করিয়ে জবর দখল করেছেন। ফলে পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সোতা, বেনাদোনা, মানপুর ও রহমতপুরসহ আশেপাশের বহু গ্রামের শত শত বিঘা কৃষিজমি। ক্ষতির মুখে রয়েছে ফসলের পাশাপাশি বসতবাড়িও। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছে।বিক্ষোভকারীরা জানান, ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রামবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। খালটি শ্রেণিভুক্ত করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল ফারুক, সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আমিনুর রহমান এবং সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফি জানান, জনগণের স্বার্থে খাল পুনরুদ্ধার এখন সময়ের দাবি। খাল দখল করে পানি প্রবাহ রোধ করায় শত শত পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি আদায়ে তারা ভবিষ্যতে মানববন্ধন, মিছিল, মিটিং ও সংবাদ সম্মেলনসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এদিকে সালাউদ্দীন গং দাবী করছে তারা ডিসিআর নিয়ে খালে নেট পাটা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে দখলে থেকে মাছচাষ করে আসছে।